পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে মুখ খুললেন কলেজছাত্র মামুন

| আপডেট :  ১৪ আগস্ট ২০২২, ০১:২১ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ১৪ আগস্ট ২০২২, ০১:২১ অপরাহ্ণ

এবার নাটোরের গুরুদাসপুরে কলেজছাত্র মো. মামুন হোসেনকে (২২) বিয়ের সাত মাসের মাথায় কলেজশিক্ষক খাইরুন নাহারের (৪৫) ম’রদেহ উ’দ্ধার করেছে পুলিশ। আজ রবিবার সকাল ৭টার দিকে কলেজশিক্ষক খাইরুন নাহারের ম’রদেহ শহরের বলারিপাড়া এলাকার একটি ভাড়া বাসা থেকে উ’দ্ধার করা হয়।

এদিকে নাটোর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাছিম আহম্মেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, এটি হ’’ত্যা না আত্মহ’’ত্যা এ ব্যাপারে এখনই বিস্তারিত কিছু বলা যাচ্ছে না। জি’জ্ঞাসাবাদের জন্য মামুনকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।

প্রাথমিক জি’জ্ঞাসাবাদে মামুন জানিয়েছেন, তিনি ভোর ৪টার দিকে ঘর থেকে বের হয়ে বাথরুমে যান। কিছুক্ষণ পর ফিরে এসে দেখেন, গ’লায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় সিলিংয়ে ঝুলছেন খায়রুন নাহার। হাতের কাছে ধা’রালো কিছু না পেয়ে দিয়াশলাইয়ের কাঠি দিয়ে আ’গুন জ্বা’লিয়ে ওড়না পু’ড়িয়ে তাকে নিচে নামান।

এদিকে গুরুদাসপুর উপজে’লার খুবজীপুর এম হক ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক মোছা. খাইরুন নাহার। প্রথমে বিয়ে হয়েছিল রাজশাহীর বাঘায়। সেখানে তার এক স’ন্তানও রয়েছে। তবে পারিবারিক ক’লহে সে সংসার বেশি দিন টিকেনি। তারপর কে’টে যায় অনেক দিন। এরই মাঝে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পরিচয় হয় ২২ বছরের যুবক মামুনের সঙ্গে।

মামুনের বাড়ি একই উপজে’লার ধারাবারিষা ইউনিয়নের পাটপাড়া গ্রামে। তিনি নাটোর এন এস স’রকারি কলেজের ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে ২০২১ সালের ২৪ জুন তাদের প্রথম পরিচয়। তারপর গড়ে ওঠে প্রেমের সম্পর্ক। তারপর ২০২১ সালের ১২ ডিসেম্বরে বিবাহ বন্ধনে আবন্ধ হন। সপ্তাহ খানেক আগে তাদের বিয়ের বি’ষয়টি ছড়িয়ে পড়ে।