ছাত্রকে বিয়ে করা সেই খাইরুন নাহার এখন কেবলই ইতিহাস

| আপডেট :  ১৪ আগস্ট ২০২২, ১০:২৪ পূর্বাহ্ণ | প্রকাশিত :  ১৪ আগস্ট ২০২২, ১০:২৪ পূর্বাহ্ণ

নাটোরের গুরুদাসপুরে কলেজছাত্রকে বিয়ের ছয় মাস পর শিক্ষিকা খায়রুন নাহারের (৪০) ম’রদেহ উ’দ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার (১৪ আগস্ট) সকালে নাটোর শহরের বলারিপাড়া এলাকায় ভাড়া বাসা থেকে তার ম’রদেহ উ’দ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় তার স্বামী মামুনকে (২২) আ’টক করেছে পুলিশ।

খাইরুন নাহার গুরুদাসপুর খুবজীপুর এম হক ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক ছিলেন। তার স্বামী মামুন নাটোর এন এস স’রকারি কলেজের ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র।

নাটোর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসিম আহমেদ বি’ষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ম’রদেহ উ’দ্ধারের জন্য পুলিশ পাঠানো হয়েছে। ম’য়নাত’দন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে।

এর আগে, গত ৩১ জুলাই কলেজছাত্র ও ওই শিক্ষিকার বিয়ের বি’ষয়টি জানাজানি হলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এক বছর আগে ফেসবুকে শিক্ষিকা নাহারের সঙ্গে একই উপজে’লার ধারাবারিষা ইউনিয়নের পাটপাড়া গ্রামের কলেজছাত্র মামুনের পরিচয় হয়। পরে তাদের দুজনের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। একপর্যায়ে দুজন বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন। ২০২১ সালের ১২ ডিসেম্বর কাউকে না জানিয়ে গো’পনে বিয়ে করেন তারা।

বিয়ের ৬ মাস পর তাদের সম্পর্ক জানাজানি হলে ছেলের পরিবার মেনে নিলেও মেয়ের পরিবার থেকে বিয়ে মেনে নেয়নি। এর আগে ওই শিক্ষিকা বিয়ে করেছিলেন রাজশাহী বাঘা উপজে’লার এক ছেলেকে। পারিবারিক ক’লহে সেই সংসার বেশি দিন টেকেনি। প্রথম স্বামীর ঘরে এক স’ন্তান রয়েছে বলেও জানা গেছে।

খাইরুন নাহার জানিয়েছিলেন, প্রথম স্বামীর সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদের পর মা’নসিকভাবে ভে’ঙে পড়েছিলাম। আত্মহ’’ত্যা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। ওই সময় ফেসবুকে পরিচয় হয় মামুনের সঙ্গে। মামুন আমার খা’রাপ সময় পাশে থেকে উৎসাহ দিয়েছে এবং নতুন করে বেঁচে থাকার স্বপ্ন দেখিয়েছে। পরে দুজন বিয়ের সিদ্ধান্ত নিই। তবে ছাত্রকে বিয়ে করা খাইরুন নাহার এখন কেবলই ইতিহাস।