১১০ বছরে বয়সেও চশমা ছাড়া কোরআন পড়েন নুরন্নবী

| আপডেট :  ১৩ আগস্ট ২০২২, ০১:১৭ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ১৩ আগস্ট ২০২২, ০১:১৭ অপরাহ্ণ

বয়স ১১০। এ বয়সেও খালি চোখে পড়েন কোরআন কোরআন। পায়ে হেঁটে নামাজে যান মসজিদে। সবার সঙ্গে কথাও বলেন স্বাভাবিকভাবে। এমন একজন বয়স্ক তরুণের দেখা মিলেছে রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার হারাগাছের কসাইটারী ডাক্তারপাড়া গ্রামে। নাম নুরন্নবী মিয়া। বাবা মৃত নজর উদ্দিন কাগজিয়া।

এলাকাবাসী রফিক মিয়া জানান, নুরন্নবী মিয়ার সমবয়সী ওই এলাকাতে আর কেউ বেঁচে নেই। তার চেয়ে বয়সে যারা ৩০-৪০ বছরের ছোট, তাদের অনেকের চোখেই চশমা। তাদের কেউ কেউ আবার পত্রিকা, বই পড়া তো দুরের কথা, চোখে চশমা দিয়েও চলাফেরা করতে পারেন না। অথচ এখনও তিনি চশমা ছাড়াই খালি চোখে পবিত্র কোরআন শরীফ পড়তে পারেন।

নুরন্নবী মিয়া ব্রিটিশ শাসন, পাকিস্তানি শোষণ আর বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম দেখেছেন। ছোটবেলা থেকেই হেঁটে হেঁটে চারদিক ছুটে বেড়িয়েছেন। যুবক বয়সে ব্যবসা-বাণিজ্যের কাজে বেশির ভাগ সময় বিভিন্ন জায়গায় হেঁটে যাতায়াত করেছেন বলে জানান নুরুন্নবী।

তিনি বলেন, যুবক বয়সে যেসব খাবার খেয়েছি, তার সবই ছিল ভেজালমুক্ত। নিজেদের বাড়ির গরুর দুধ, ডিম, খেতের শাক-সবজি, পুকুরের মাছ, সরিষার তেল, ঢেঁকি ছাটা চালের ভাত কত স্বাদ ছিল। সব খাবার ছিল একদম নির্ভেজাল। আর এখন সবই ভেজাল।

নুরন্নবী মিয়ার ছয় ছেলে ও চার মেয়ে। জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী তার জন্ম ১৯১০ সালের ২১ নভেম্বর। তবে স্থানীয়দের অনেকেই বলছেন, নুরন্নবী মিয়ার বয়স ১১৫-১২০ বছর হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। যদিও বয়স নিয়ে নুরন্নবী নিজে কোনো মন্তব্য করেননি।

নুরন্নবী মিয়ার ভাতিজা মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ বলেন, আমার বড় বাবার বয়সী কোনো মানুষ আর হারাগাছে নেই। এ বয়সেও আমার জেঠা খালি চোখে কোরআন শরীফ নিয়মিত পড়ছেন এটা একটা দৃষ্টান্ত।