দেহরক্ষী থাকাকালীন সময়ে দু’জনের মধ্যে সম্পর্কের গভীরতা তৈরি হয়

| আপডেট :  ২২ জুলাই ২০২২, ১০:০০ পূর্বাহ্ণ | প্রকাশিত :  ২২ জুলাই ২০২২, ১০:০০ পূর্বাহ্ণ

বাংলা একাত্তর ডেস্কঃ এখন দেশে আলোচনার শীর্ষে পুলিশের এডিসি খন্দকার লাবনীর সিলিং ফ্যানে ঝুলন্ত ম-রাকদেহ উদ্ধার। জানা গেছে, ‘মানসিক অশান্তিতে’ ছিলেন পুলিশ কর্মকর্তা খন্দকার লাবনী। কিছুদিন আগে অ’তিরিক্ত ঘুমের ওষুধ খাওয়ায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তাকে দুই ঘণ্টা নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হয়েছিল। তবে কী কারণে তিনি ডি’প্রেশনে ছিলেন সে বিষয়ে জানায়নি নি’হতের পরিবার।

গতকাল বৃহস্পতিবার বিকালে সব আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে দুজনের মৃ-তদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। একইদিন রাতে এডিসি লাবনীর পৃথক দুটি নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। একটি শ্রীপুরের সারঙ্গাদিয়ায় নানাবাড়িতে আরেকটি তার গ্রামের বাড়ি বরালিদাহে। পরে সেখানে পারিবারিক করবস্থানে তাকে দাফন করা হয়। এই ঘটনায় পৃথক দুটি অ’পমৃ’ত্যু মামলা হয়েছে।

এর আগে বুধবার গভীর রাতে ওই বাড়িতেই সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আ’ত্মহ’ত্যা করেন তিনি। এর সাড়ে পাঁচ ঘণ্টার মাথায় মাগুরা পুলিশ লাইন্সের ব্যারাকে মাথায় শটগান ঠেকিয়ে আ’ত্মহ’ত্যা করেন তার সাবেক দেহরক্ষী মাহমুদুল হাসান। মাগুরার শ্রীপুরে নানা বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন এডিসি লাবনী।

খন্দকার লাবনী খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা বিভাগ) ছিলেন। তাদের রহস্যজনক আ’ত্মহ’ত্যায় দেশজুড়ে নানান আলোচনা চলছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীতেও নানা প্রশ্ন ঘুড়ে বেড়াচ্ছে। সাড়ে পাঁচঘণ্টার ব্যবধানে আ’ত্মহ’ত্যার কারণ নিশ্চিত হতে একাধিক সংস্থা কাজ করছে।

এদিকে খুলনা গোয়েন্দা পুলিশের একটি সূত্র বলছে, কনস্টেবল মাহমুদুল হাসান ও লাবনীর মধ্যে ‘প্রেমের’ সম্পর্ক থাকতে পারে। আর এর জেরেই হয়ত প্রথমে আ’ত্ম’হত্যা করেন লাবনী। পরে তার সাবেক দেহরক্ষী মাগুরা পুলিশ লাইনসের কনস্টেবল মাহমুদুল হাসান আত্মহত্যা করেন। তাদের কললিস্ট যাচাই করে দুজনের মধ্যে কথপোকথনের একাধিক প্রমাণ পেয়েছেন তদন্ত সংশ্লিষ্টরা।

সূত্র আরও বলছে, লাবনীর দেহরক্ষী থাকাকালীন সময়ে দু’জনের মধ্যে সম্পর্কের গভীরতা তৈরি হয়, যাকে প্রেমের সম্পর্ক বলা যায়। পরবর্তীতে মাহমুদুল হাসান মাগুরায় বদলি হয়ে আসার পর তাদের সম্পর্কের ভাটা পরে। এ নিয়ে হয়তো তাদের সঙ্গে ম’নমা’লিন্য থাকতে পারে। এছাড়া অন্য কোনো কারণ আছে কি না তা যাচাই করা হচ্ছে। আ’ত্মহ’ত্যায় কারও প্ররোচনা কিংবা ব্ল্যা’কমেইলিংয়ের কোনো ব্যাপার আছে কিনা তাও তদন্ত করা হচ্ছে।

এ দিকে, মাহমুদুল হাসানের বোন সুমাইরা খাতুন বলেন, পুলিশ কর্মকর্তা লাবনীর সঙ্গে আমার ভাইয়ের খুবই ভালো সম্পর্ক ছিল। তাদের মধ্যে ভাইবোনের মতো সম্পর্ক ছিল। কখনো কোনো দিন কারো সঙ্গে খা’রাপ ব্যবহার করেননি। লাবনীর সঙ্গে আমার ভাইয়ের অন্য কোনো সম্পর্ক ছিল না। ঈদের ছুটিতে ঈদের আগের দিন বাড়িতে এসেছিল মাহমুদুল। ঈদের পরদিন সে মাগুরায় চলে যায়। তবে কেন আত্মহত্যা করেছে তা বুঝতে পারছি না। শান্ত প্রকৃতির মানুষ ছিল মাহমুদুল। তার মৃত্যু আমরা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছি না।

কেএমপির বিশেষ পুলিশ সুপার (সিটিএসবি) রাশিদা খানম গণমাধ্যমকে জানান, লাবনী খুলনায় স্বামী-সন্তান নিয়ে সোনাডাঙ্গা আবাসিক এলাকায় (২য় ফেজে) ভাড়া বাড়িতে থাকতেন। তার স্বামী ক্যা’নসারে আক্রান্ত। বর্তমানে তিনি ভারতে চিকিৎসাধীন। সূত্রঃ ঢাকাটাইমস।