পাঁচ ঘন্টার ব্যবধানে এডিসি লাবনী ও তার সাবেক দেহরক্ষীর মৃত্যু, রহস্য কী?

| আপডেট :  ২১ জুলাই ২০২২, ০৪:১৯ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ২১ জুলাই ২০২২, ০৪:১৭ অপরাহ্ণ

কয়েকঘন্টার ব্যবধানে খুলনার মেট্রোপলিটন পুলিশ—কেএমপির অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (এডিসি) এবং তারই সাবেক দেহরক্ষী মৃ’ত্যুর র’হস্য উদঘাটনে কাজ করছে আইনশৃঙ্খলাবাহিনী। লাবনীর মৃ’ত্যুর পেছনে কারো বা কোনো ধরনের প্ররোচনা আছে কি না অনুসন্ধান করছে পুলিশ।

ম’রদেহের ম’য়নাত’দন্ত শেষ না হওয়ায় এখনো ত’দন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়নি। একসঙ্গে দুইজনের মৃ’ত্যুতে কোনো যোগসূত্রতা আছে কি না ত’দন্ত কর্মকর্তা নিযোগের পর তিনিই বি’ষয়টি দেখবেন বলে পুলিশের ভাষ্য।

বুধবার দিবাগত রাত সাড়ে বারোটা থেকে একটার মধ্যে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পদমর্যাদার কর্মকর্তা লাবনীকে ঝু’লন্ত অবস্থায় উ’দ্ধার করা হয়। মাগুরার শ্রীপুরের সারঙ্গাদিয়ায় নানাবাড়ির একটি ঘরের সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচানো অবস্থায় পাওয়া গেলে পরিবারের লোকজন তাকে হাসপাতালে নেয়। পরে চিকিৎসকরা তাকে মৃ’ত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনার পাঁচ ঘন্টা পর এডিসি লাবনীর সাবেক দেহরক্ষী মাহমুদুল মাগুরায় তার ব্যারাকের ছাঁদে নিজের অ’স্ত্রের গু’লিতে আত্মহ’’ত্যা করেন। পুলিশের এই সদস্য খুলনায় চাকরিরত অবস্থায় এডিসি লাবনীর দেহরক্ষী ছিলেন। তার বাড়ি কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে। দেড় মাস আগে মাগুরায় বদলি হয়ে আসেন।

জে’লা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কনস্টেবল মাহমুদুল হাসান নিজের নামে থাকা শর্টগান শরীরে ঠেকিয়ে আত্মহ’’ত্যা করেছেন। রাতের ডিউটি শেষ করে সবাই চলে যায় অ’স্ত্রাগারে অ’স্ত্র জমা দিতে। কিন্তু বৃহস্পতিবার সকাল ছয়টার দিকে মাহমুদুল লুকিয়ে ব্যারাকের ছাদে গিয়ে শর্টগান দিয়ে গু’লি করে আত্মহ’’ত্যা করেন।

পুলিশ যা বলছে: মাগুরা জে’লা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. কলিমুল্লাহ ঢাকা টাইমসকে বলেন, এডিসি লাবনীর ম’রদেহ ঝু’লন্ত অবস্থায় পায় তার স্বজনরা। পরে চিকিৎসক তাকে মৃ’ত ঘোষণা করেন। ম’রদেহ এখনো পোস্টমর্টেম হয়নি। তিনি (লাবনী) রাত সাড়ে বারোটা থেকে একটার মধ্যে গ’লায় ফাঁ’স দিয়ে আত্মহ’’ত্যা করেন বলে আমরা ধারণা করছি। ওই বাড়িতে লাবনীর মা-বাবা, আত্মীয়-স্বজনসহ অনেকেই থাকতেন।

লাবনীর আত্মহ’’ত্যায় কারও প্ররোচনা আছে কি না এমন প্রশ্নে পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘না, আমরা এখনো এমন কিছু পায়নি। তবে ত’দন্তে অনেক কিছু বের হতে পারে। ম’য়নাত’দন্ত শেষ হলে ত’দন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ করা হবে।’

লাবনীর মৃ’ত্যুর কয়েকঘন্টার ব্যবধানে তার সাবেক দেহরক্ষীর নিজেই আত্মহ’’ত্যার ঘটানয় কোনো র’হস্য আছে কি না জানতে চাইলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. কলিমুল্লাহ বলেন, ‘এখনই কিছু বোঝা যাচ্ছে না। ঘটনা এক জে’লায় হলেও পৃথক জায়গায় হয়েছে। যিনি ত’দন্ত কর্মকর্তা হবেন তিনি অবশ্যই এবি’ষয়গুলো দেখবেন। আর এসব বি’ষয় অনুসন্ধানের দায়িত্ব তো ত’দন্ত কর্মকর্তারই।’

লাবনীর দাম্পত্য জীবনে কোনো স’মস্যা ছিল কি না জানতে চাইলে জে’লা পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘যতটুকু জেনেছি তেমন কিছু ছিল না। খুলনায় তারা স্বামী-স্ত্রী একসঙ্গে বাচ্চাদের নিয়ে থাকতেন। সম্প্রতি উনার (লাবনী) স্বামী অ’সুস্থ থাকায় তিনি ভারতে চিকিৎসা নিতে গেছেন। আর উনি (লাবনী) বাচ্চাদের নিয়ে বাড়িতে এসেছিলেন।’