দেশের সবচেয়ে বড় লাকড়ির চুলায় রান্না হবে ৬২ হাজার মানুষের আড়াইশ মণ খাবার

| আপডেট :  ৮ জুলাই ২০২২, ০৮:২৬ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ৮ জুলাই ২০২২, ০৮:২৬ অপরাহ্ণ

চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী মাইজভাণ্ডার দরবার শরীফে একসঙ্গে আড়াইশ মণ খাবার রান্নার উপযোগী একটি ডেকের উদ্বোধন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৭ জুলাই) থেকে এই ডেকে রান্না শুরু হয়েছে।চট্টগ্রামের সাবেক সিটি মেয়র এম মনজুর আলমের মালিকানাধীন মোস্তফা হাকিম গ্রুপের উদ্যোগে বিশাল এই ডেকটি নির্মাণ ও স্থাপন করা হয়েছে। ডেকটিতে একসঙ্গে ৬২ হাজার মানুষের জন্য খাবার রান্না করা যাবে বলে জানিয়েছেন এর সঙ্গে সম্পৃক্তরা। তাদের দাবি, বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ খাবার রান্নার ডেক এটি।

ডেক নির্মাতা মোস্তফা হাকিম গ্রুপের পরিচালক সরোয়ার আলম বলেন, ‘আমার বাবা মানুষকে খাওয়াতে ভালোবাসেন। তিনি প্রতি সপ্তাহে এতিমখানাসহ বিভিন্নস্থানে হাজারো মানুষের খাবারের ব্যবস্থা করেন। একসঙ্গে ৬২ হাজার মানুষের খাবার রান্না করতেই এই ডেকটি নির্মাণ করা হয়েছে। এতে একবার রান্না করতে খরচ হবে ২০ লাখ টাকার মতো। আর প্রতিবার রান্নায় জ্বালানি লাগবে প্রায় ১ লাখ টাকার।’

তিনি আরো বলেন, ‘গতকাল সন্ধ্যায় আনুষ্ঠানিকভাবে ডেকটিতে খাবার রান্না শুরু হয়েছে। প্রথমদিন পরীক্ষামূলকভাবে ২০ মণ খাবার রান্না করে তা বিতরণ করা হয়েছে। ডেকটি বসানো হয়েছে দেশের সবচেয়ে বড় লাকড়ির চুলার ওপর।’

মোস্তফা হাকিম গ্রুপের কর্ণধার সাবেক সিটি মেয়র এম মনজুর আলম বলেন, ‘ডেকটি নির্মাণ করতে ছয় মাস সময় লেগেছে। এটি নির্মাণে এইচ এম স্টিলের অভিজ্ঞ প্রকৌশলীদের সহায়তা নেওয়া হয়েছে। এত বড় ডেক তৈরি, পরিবহন, চুলা তৈরি, স্বাস্থ্যসম্মত রন্ধন প্রক্রিয়া ও আধুনিক ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে সব ধরনের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।’

মোস্তফা হাকিম গ্রুপের পরিচালক ও এইচ এম স্টিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এইচ এম রাজু বলেন, ‘বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিশ মণ খাবার রান্নার মধ্য দিয়ে এই ডেকের উদ্বোধন করা হয়েছে। এতে খিচুড়ি, পায়েস ও শাহী জর্দা রান্না করা যাবে।’

তিনি আরো বলেন, ‘মোস্তফা হাকিম গ্রুপের উদ্যোগে এই ডেকে বছরে পাঁচ বার খাবার রান্না ও বিতরণ করা হবে। দিনগুলো হলো- ১২ রবিউল আউয়াল, ১০ মহররাম, ১০ মাঘ, ২৯ আশ্বিন ও ২২ চৈত্র। এছাড়া ব্যক্তি উদ্যোগে কেউ আগ্রহী হলে তারা নিজেরাও এই ডেকে খাবার রান্না করে বিতরণ করতে পারবেন।