মাসে দেড়লাখ টাকা চাঁদার দাবিতে লেগুনা ভাঙচুর ছাত্রলীগের

| আপডেট :  ২ জুলাই ২০২২, ০৩:৩৩ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ২ জুলাই ২০২২, ০৩:৩৩ অপরাহ্ণ

প্রতি মাসে দাবি”কৃত দেড় লাখ টাকা চাঁ’দা দিতে রাজি না হওয়ায় নীলক্ষেত রুটে চলাচলকারী চারটি লেগুনা ভা’ঙচুরের অ’ভিযোগ উঠেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের এফ. রহমান হল শাখার কর্মীদের বি’রুদ্ধে।

স্যার এ এফ রহমান হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রিয়াজুল ইসলাম এবং সাধারণ সম্পাদক মুনায়েম শাহরিয়ার মুনের নির্দেশে তাদের অনুসারীরা গতকাল শুক্রবার (১জুলাই) সন্ধ্যায় এ হা’মলা চা’লানো হয় বলে অ’ভিযোগ করেন নীলক্ষেত লেগুনা সমিতি কর্তৃপক্ষ।

নীলক্ষেত মোড় হয়ে ৩টি ভিন্ন ভিন্ন রুটে ৬০-৭০টি লেগুনা চলাচল করে। ফের হা’মলার আ’শঙ্কায় আজ সবকটি রুটেই বন্ধ রয়েছে লেগুনা চলাচল। এতে ভোগান্তিতে পড়েন এসব রুটে প্রতিদিন চলাচল করা সাধারণ যাত্রীরা।

লেগুনা সমিতি সূত্রে জানা যায়, গত সপ্তাহে লেগুনা মালিক সমিতির নেতাদের ডাকেন স্যার এ এফ রহমান হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক। এফ রহমান হলের সামনে চায়ের দোকানে হওয়া সেই বৈঠকে তারা সমিতির নেতাদের কাছে ‘হাতখরচ’ হিসেবে প্রতি মাসে দেড় লাখ টাকা চাঁ’দা দাবি করেন। এ নিয়ে মালিক সমিতির সঙ্গে তাদের ২ দফা বৈঠক হয়। কিন্তু মালিক সমিতির ছাত্রলীগের এই অযৌক্তিক দাবি মেনে নিতে রাজি না হওয়ায় হা’মলা-ভা’ঙচুর চালান ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা।

ছাত্রলীগের সাথে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন লেগুনা মালিক রফিক। নীলক্ষেত থেকে চকবাজার রোডে তার দুটি লেগুনা রয়েছ। তিনি বলেন, আমাদের সঙ্গে বসার পর হল ছাত্রলীগের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমরা এখন নতুন কমিটি পাইছি। আমাদের কিছু হাত খরচ দিয়েন। এরপর আমাদের একজন বলেন, কত দিতে হবে ভে’ঙে বলেন।

তখন রিয়াজ ভাই বলেন, দেড় লাখ টাকা দিয়েন। এই কথা শুনে আমাদের সবাই উঠে চলে আসছি। তাদের প্রো’গ্রাম থাকায় তারাও চলে যায়। এই ঘটনার চার-পাঁচ দিন তাদের সঙ্গে আর যোগাযোগ হয়নি। তারাও কোনো ঝামেলা করেনি।
লেগুনা মালিক রফিক আরও বলেন, চার-পাঁচদিন পর এসে তারা গাড়ি ভা’ঙচুর এবং চালকদের মা’রধর করা শুরু করেন। স্ট্যান্ডে কোনো গাড়িই তারা রাখতে দেন না।

নীলক্ষেত স্ট্যান্ডের সুপারভাইজার মহসিন মানবজমিনকে বলেন, গতকাল ১০-১২ জন ছাত্রলীগ নেতা কর্মী লা’ঠিসো’টা নিয়ে এসে অতর্কিতভাবে রাস্তায় থাকা লেগুনার উপর হা’মলা চালান। এতে চারটি লেগুনা ক্ষ’তিগ্রস্ত হয়েছে। এর আগেও তারা বেশ কয়েকবার বিভিন্ন লেগুনার লুকিং গ্লাস ও সামনের গ্লাস ভা’ঙচুর করেন। এ পর্যন্ত মোট সাতটি লেগুনায় হা’মলা হয়েছে। আজকের নীলক্ষেতে তিনটি রোডে সবকটিতে লেগুনা চলাচল বন্ধ রেখেছে মালিকরা। ঘটনার সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত সংশ্লিষ্টরা লেগুনা রাস্তায় নামাবেন না বলে তিনি জানান।

তবে অ’ভিযোগের বি’ষয়ে জানতে চাইলে এফ রহমান হল ছাত্রলীগের সভাপতি রিয়াজুল ইসলাম মানবজমিনকে বলেন, গত তিনদিন ধরে আমি অ’সুস্থ। হা’মলার বি’ষয়ে আমি কিছু জানি না। আমার বি’রুদ্ধে যারা অ’ভিযোগ করছে তাদের আমি চিনিও না, চাঁ’দা চাওয়া তো প্রশ্নই উঠে না। এটি আমার মান সম্মান ন’ষ্ট করার জন্য পরিকল্পিতভাবে করা হয়েছে। আমি সুস্থ হয়ে তাদের বি’রুদ্ধে পদক্ষেপ নেব।