অপরাধ প্রমাণ হলে সর্বনিম্ন ১৪ বছর বা সর্বোচ্চ মৃ’ত্যুদ’ণ্ড হতে পারে বায়েজিদের?

| আপডেট :  ২৯ জুন ২০২২, ১২:০৬ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ২৯ জুন ২০২২, ১২:০৬ অপরাহ্ণ

পদ্মা সেতুর রেলিংয়ের নাট-বল্টু খুলে নেয়ার ঘটনায় গ্রে’প্তার বায়েজিদ ওরফে তালহা পেশাদার টিকটকার নন। তার মোবাইল ইউটিউব অ্যাকাউন্টে পাওয়া গেছে মাত্র ৬টি টিকটক ভিডিও। এই ৬টি ভিডিও আবার আপলোড হয়েছে এক বছরে। চলতি বছরে তার ইউটিউব অ্যাকাউন্টে ২টি টিকটক ভিডিও আপলোড হয়েছে। নাট-বল্টু খুলে নেয়ার ঘটনায় বায়েজিদকে রি’মান্ডে জি’জ্ঞাসাবাদ করছে সিআইডি।

জি’জ্ঞাসাবাদে তিনি দাবি করেছেন অনেকটা মজা করে একটি অসঙ্গতি তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন তিনি। তবে সিআইডি বলছে, এটি তার অ’পরাধ কর্মকাণ্ডের মধ্যে পড়ে। তার নামে যে বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৫(৩)/২৫ঘ ধারাই মা’মলা হয়েছে ওই মা’মলায় তার অ’পরাধ প্রমাণ হলে সর্বনিম্ন ১৪ বছর এবং সর্বোচ্চ মৃ’ত্যুদ’ণ্ড হতে পারে। বায়েজিদকে ইতিমধ্যে মা’মলার ত’দন্তকারীরা ঘটনাস্থলে নিয়ে গেছে। তিনি কীভাবে ওই কাজটি করেছেন তা সরজমিন দেখার জন্য ত’দন্তকারীরা গতকাল সকালে নিয়ে যায়। বায়েজিদ ঘটনাস্থলের তার করা ভিডিওটির বিস্তারিত বর্ণনা দিয়েছে।

তিনি যখন তার ভিডিওটি করছিলেন তখন আশপাশে বেশি লোকজন ছিল না। দূরে লোকজন ছিল। ঘটনাস্থলে সে প্রাইভেটকার নিয়ে গিয়েছিল। ওই প্রাইভেটকারের নম্বর প্লেটের সূত্র ধরে তাকে গ্রে’প্তার করে সিআইডি। সিআইডির কর্মকর্তারা বায়েজিদের বাসায় গিয়ে বলেন যে, তাকে টিকটক ভিডিওটির ব্যাপারে জি’জ্ঞাসাবাদ করে ছেড়ে দেয়া হবে।

জি’জ্ঞাসাবাদের কথা শুনে বায়েজিদের মধ্যে কোনো উ’দ্বেগ-উৎকণ্ঠা লক্ষ্য করা যায়নি। তিনি খুব মুক্ত মনে সিআইডি কর্মকর্তাদের সঙ্গে সিআইডির সদর দপ্তরে এসেছেন। তাকে যখন গ্রে’প্তার দেখিয়ে আ’দালতে হাজির করা হয় তখন থেকে তিনি মা’নসিকভাবে ভে’ঙে পড়েছেন। এ ঘটনার সঙ্গে জ’ড়িত এবং মা’মলার এজাহারে উল্লিখিত আ’সামি কাওসারকে গ্রে’প্তার করতে পারেনি পুলিশ।

কাওসার ছাড়াও এ মা’মলার অ’জ্ঞাত আ’সামিদের গ্রে’প্তার করার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ। বায়েজিদের মা’মলার ত’দন্তের সঙ্গে যুক্ত সিআইডির একাধিক দায়িত্বশীল কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে। গত রোববার স্বপ্নের পদ্মা সেতু জনসাধারণের জন্য খুলে দেয়ার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ৩৪ সেকেন্ডের একটি টিকটক ভিডিও ভাইরাল হয়। ভিডিওতে দেখা যায়, বায়েজিদ তালহা সেতুর রেলিংয়ের পাশে দাঁড়িয়ে দুটি বল্টুর নাট খুলছেন।

ভিডিও ধারণকারীকে বলতে শোনা যায়, ‘এই লুজ দ্যাহি, লুজ নাট, আমি একটা ভিডিও করতেছি, দ্যাহো।’ নাট হাতে নিয়ে বায়েজিদ ওরফে তালহা বলেন, ‘এই হলো পদ্মা সেতু আমাদের……পদ্মা সেতু। দেখো আমাদের হাজার হাজার কোটি টাকার পদ্মা সেতু। এই নাট খুইলা অহন আমার হাতে।’ ভিডিওটি দ্রুত দেশে এবং বিদেশে ছড়িয়ে পড়ে। ওইদিনই বিকালে শান্তিনগর এলাকা থেকে বায়েজিদকে গ্রে’প্তার করে সিআইডি।

তার নামে বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৫(৩)/২৫ঘ ধারায় হওয়া পদ্মা দক্ষিণ থানার একটি মা’মলা হয়েছে। পুুলিশ তাকে আ’দালতে হাজির করলে আ’দালত তাকে ৭ দিনের রি’মান্ড মঞ্জুর করেন। মা’মলাটি ত’দন্ত করছে সিআইডি।

এ বি’ষয়ে যোগাযোগ করা হলে মা’মলার ত’দন্তের মুখ্য সমন্বয়ক সিআইডি’র সদর দপ্তরের সাইবার পুলিশের এসপি মো. রেজাউল মাসুদ মানবজমিনকে জানান, বায়েজিদ যে অ’পরাধ করেছে তার অ’পরাধ আ’দালতে প্রমাণ হলে সর্বোচ্চ মৃ’ত্যুদ’ণ্ড এবং সর্বনিম্ন ১৪ বছর জে’ল হতে পারে। আ’সামির কাছ থেকে বিস্তারিত তথ্য জানার জন্য তাকে আমরা ঘটনাস্থলে নিয়ে গিয়েছি। তাকে জি’জ্ঞাসাবাদ অব্যাহত আছে। সূত্রঃ মানবজমিন