শ্যালকের বিয়েতে দাওয়াত না পাওয়ায় স্ত্রী-শাশুড়িসহ তিনজনকে কু’পিয়ে হ’ত্যা

| আপডেট :  ২৪ জুন ২০২২, ১২:১১ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ২৪ জুন ২০২২, ১২:১১ অপরাহ্ণ

শ্যালকের বিয়েতে দাওয়াত পাননি। তাই ক্ষোভে শ্বশুর বাড়ি গিয়ে স্ত্রী-শাশুড়িসহ তিনজনকে কু’পিয়ে হ’’ত্যা করেছেন মিন্টু মিয়া নামে এক ব্যক্তি।বৃহস্পতিবার রাতে শেরপুরের শ্রীবরদী উপজে’লার কাকিলাকুড়া ইউনিয়নের পটল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নি’হতরা হলেন- ওই গ্রামের মনু মিয়ার স্ত্রী শেফালী বেগম (৫০), তার মেয়ে মনিরা বেগম (৩৫) এবং মনিরার চাচা মাহমুদ (৬৫)।এসময় স্বজনদের বাঁচাতে গিয়ে মনু মিয়া তার ছেলে শাহাদত হোসেন ও নি’হত মাহমুদের স্ত্রী ছাহেরা বেগম (৫২) গু’রুতর আ’হত হয়েছেন। তাদেরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শ্রীবরদী গেরামা’রা গ্রামের হাইমুদ্দিনের ছেলে পেশায় হাঁস-মুরগি বিক্রেতা মিন্টু মিয়ার (৪০) সঙ্গে প্রায় আট বছর আগে মনিরা বেগমের বিয়ে হয়। তাদের এক ছেলে ও এক মেয়ে স’ন্তান রয়েছে। সাত-আটদিন আগে মনিরার ভাই শাহাদতের বিয়ে হয়। ছেলের বিয়ের অনুষ্ঠানে মেয়ের জামাইকে দাওয়াত করেননি মনু মিয়া।

এ নিয়ে ভীষণ রেগে যান মিন্টু মিয়া। রাগে-ক্ষো’ভে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে তিনি বোরকা পড়ে ধারাল দা নিয়ে শ্বশুর বাড়িতে প্রবেশ করেন। বাড়িতে ঢুকেই তিনি শাশুড়িকে কো’পাতে থাকেন। তার চি’ৎকার শুনে মনিরা এগিয়ে এলে তাকেও কোপান মিন্টু। এরপর মনিরার চাচা মাহমুদকেও আ’ক্রমণ করেন তিনি। আকস্মিক এ ঘটনায় হতভম্ব হয়ে পড়েন বাড়ির লোকজন। তারা মিন্টুকে বা’ধা দিতে এলে তাদের ও’পর হা’মলা করে পা’লিয়ে যান মিন্টু।

তাদের চি’ৎকার শুনে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এসে সবাইকে উ’দ্ধার করে বকশীগঞ্জ উপজে’লা স্বা’স্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসকরা তিনজনকে মৃ’ত ঘোষণা করেন এবং বাকিদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও মনু মিয়ার ছোট মেয়ে দিনারা বেগম (২৬) বলেন, ‘দুলাভাই প্রথমে আমার আম্মাকে কোপ দেয়। আব্বা এগিয়ে আসলে তারেও কোপ দেয়। এরপর মনিরা বুবুকে মে’রে জ্যাঠাকে (চাচা) কো’পাতে শুরু করে।’

শ্রীবরদী থানার ওসি বিপ্লব কুমার বিশ্বাস ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘নি’হত তিনজনের ম’রদেহ সুরৎহাল করা হয়েছে। যেহেতু বকশীগঞ্জ উপজে’লা স্বা’স্থ্য কমপ্লেক্সে তাদের ভর্তি দেখানো হয়েছে, এজন্য শুক্রবার জামালপুর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে মৃ’তদেহের ম’য়নাত’দন্ত করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা মোটামুটি নিশ্চিত মিন্টু মিয়াই এমন নৃ’শংস হ’’ত্যার ঘটনা ঘটিয়েছে। তাকে গ্রে’প্তার করতে সর্বাত্মক চেষ্টা চলছে।’