হস্তান্তরের আগেই বৃষ্টির ঝাপটায় ধসে গেল আশ্রয়ণকেন্দ্র

| আপডেট :  ২৪ জুন ২০২২, ১২:১২ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ২৪ জুন ২০২২, ১২:০৮ অপরাহ্ণ

কোটি টাকায় নির্মিত আশ্রয়ণকেন্দ্র, ভেঙে পড়ল ব্যারাক হস্তান্তরের আগেই বৃষ্টির ঝাপটায় ধসে গেল। অল্পের জন্য রক্ষা পেল বন্যায় আশ্রয় নেয়া দুর্গতরা। এলাকাবাসীর অভিযোগ, আশ্রয়ণে মাটি ভরাট ও ভবন নির্মাণে অনিয়ম ও দুর্নীতির ফলে এই ধস। সামান্য বৃষ্টিতেই মাটিসহ ভবন ধসে যাওয়ায় আতঙ্কসহ দুশ্চিন্তায় বন্যার কারণে সদ্য আশ্রয় নেয়া মানুষজনসহ এলাকাবাসী।

সরেজমিন পরিদর্শন শেষে দ্রুত সংস্কারের ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানালেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। শান্তি নীড়ে ওঠার আগেই অশান্তির থাবায় দিশেহারা হয়ে পড়েছে গৃহহীন মানুষ।

জানা গেছে, কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার চিলমারী ইউনিয়নসহ বিভিন্ন ইউনিয়নে গৃহহীন মানুষের জন্য কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে বেশ কিছু আশ্রয়ণকেন্দ্র গড়ে তোলা হয়। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় আশ্রয়ণ প্রকল্প এর অধীনে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসের তত্ত্বাবধানে মাটি ভরাটের কাজ করা হয়। পরে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অধীনে ব্যারাক নির্মাণ করা হয়।

এরই ধারাবাহিকতায় উপজেলার চিলমারী ইউনিয়নেও বেশ কিছু আশ্রয়ণকেন্দ্র নির্মাণ করা হয়। সদ্য নির্মিত ইউনিয়নের করাইবড়িশাল আশ্রয়ণকেন্দ্রের মাটি ধসে দু’টি ব্যারাকের আটটি রুম ভেঙে দুমড়ে মুচড়ে যায়। ভাঙনের মুখে রয়েছে বেশ কয়েকটি ব্যারাক।

এলাকাবাসী জানান, বৃহস্পতিবার বৃষ্টিতে আশ্রয়ণকেন্দ্রে ধস দেখা গেলে অনেক চেষ্টা করেও রক্ষা করতে পারেননি তারা। মাটি ধসের সাথে সাথে দু’টি ব্যারাকে আটটি রুম নিমিষেই ভেঙে পড়ে। বন্যা থেকে রক্ষা পেতে ব্যারাকে সদ্য আশ্রয় নেয়া কয়েকটি পরিবার রক্ষা পেলেও এখনো ভয় কাটেনি তাদের। এ ছাড়াও এরই মধ্যে বৃষ্টিতে ধস দেখা দিয়েছে একই ইউনিয়নের ঢুষমারা এলাকার দু’টি আশ্রয়ণকেন্দ্রে। মাটি ভরাটে ব্যাপক অনিয়মই ধসের প্রধান কারণ হিসেবে দাবি করেন এলাকাবাসী। তারা অভিযোগ করে বলেন, মাটি ভরাটের পাশাপাশি ভবন তৈরি করতেও করা হয়েছে অনিয়ম।

কড়াইবড়িশাল আশ্রয়ণকেন্দ্রে আশ্রয় নেয়া মোরশেদা গণমাধ্যমকে বলেন, ধসে যাওয়া ঘরেই ছিলাম অল্পের জন্য বেঁচে গেছি। এই আশ্রয়ণে থাকতে আর মন চাচ্ছে না। আরজিনা, আনিচ, আকলিমাসহ অনেকে বলেন, ‘এখনো ঘর বুঝেই দিলো না আর তাতেই এ অবস্থা। হামরা কেমনে থাকমো এই ঘরে।’

কিছু অনিয়মের মধ্য দিয়ে আশ্রয়ণগুলো নির্মাণ করা হয়েছে মন্তব্য করে চিলমারী ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম বলেন, আপাতত মাটি ভরাট করে আশ্রয়ণের বাকি ব্যারাকগুলো রক্ষা করার জন্য সংশ্লিষ্ট দফতরকে জানানো হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান বলেন, আমি সরেজমিন ঘুরে এসেছি। দ্রুত সঠিক পরিকল্পনা মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে।