সব
বরগুনার বেতাগী উপজেলার মোকামিয়া ইউনিয়নের ছোট মোকামিয়া গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য মোসা: রিজিয়া বেগমের বাড়ির পুকুরে মিলেছে জলের শস্য ছোট-বড় সাইজের ৭টি ইলিশ মাছ। গতকাল সোমবার বিকেলে পুকুরে ইলিশ ধরার খবর মুহূর্তের মধ্যে চারদিকে ছড়িয়ে পরলে পুকুর ও তাজা ইলিশ দেখতে ভিড় জমায় স্থানীয়রা। এ নিয়ে জনমনে দেখা দিয়েছে কৌতূহল।
পুকুরে মাছ ধরতে আসা মো: শাহিন বলেন, প্রতিটি ইলিশের ওজন ৪০০-৫০০ গ্রাম। ইলিশ পাওয়ায় পরিবারটি আনন্দিত হলেও বিষয়টি অবাক করার মতো। তবে কিভাবে পুকুরে ইলিশ আসলো এটি তাদের ভাবিয়ে তুলছে। এখন দেশে পুকুরে ইলিশ চাষ নিয়ে গবেষণা চলছে। বাণিজ্যিক ভিত্তিতে পুকুরে ইলিশ চাষ পুরোপুরি শুরু হলে জেলেরা কারেন্ট জাল দিয়ে আর জাটকা নিধন করবে না বলে আশা করা যায়। জীবন্ত জাটকা আহরণ করে জেলেরাই ইলিশ ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করতে পারবে।
বদ্ধ জলাশয় অর্থাৎ পুকুরে ইলিশ চাষ সর্বত্র বাণিজ্যিক ভিত্তিতে শুরু করা গেলে দেশের মৎস্য খাতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন ঘটবে বলে আশা সংশ্লিষ্টদের।উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আব্দুল গাফফার বলেন, পুকুরে ইলিশ পাওয়া গেছে। এটা আশ্চর্যের বিষয়, তবে এটা নিয়ে গবেষণা চলছে।
পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মৎস্য বিভাগের গবেষক ড. লোকমান হোসেন বলেন, ‘দেশের বিভিন্ন পুকুরে ইলিশ পাওয়ার খবর মিডিয়ায় পেয়ে থাকি। বাণিজ্যিকভাবে পুকুরে ইলিশ চাষ কতটুকু সম্ভব তা নিয়ে গবেষণা চলছে। গবেষকেরা শিগগিরিই বদ্ধ জলাশয়ে ইলিশ চাষ সম্পর্কে সুখবর দিতে পারবেন বলে আশা করছি।’
প্রসঙ্গত, এখন দেশে পুকুরে ইলিশ চাষ নিয়ে গবেষণা চলছে। বাণিজ্যিক ভিত্তিতে পুকুরে ইলিশ চাষ পুরোপুরি শুরু হলে জেলেরা কারেন্ট জাল দিয়ে আর জাটকা নিধন করবেন না বলে আশা করা হচ্ছে। জীবন্ত জাটকা আহরণ করে জেলেরাই ইলিশ চাষিদের কাছে বিক্রি করতে পারবেন। বদ্ধ জলাশয় অর্থাৎ পুকুরে ইলিশ চাষ সর্বত্র বাণিজ্যিক ভিত্তিতে শুরু করা গেলে দেশের মৎস্য খাতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন ঘটবে বলে আশা সংশ্লিষ্টদের।