১৪ বছর ভিক্ষুকবেশে ঘুরেও শেষ রক্ষা হয়নি বাবা ছেলের

| আপডেট :  ২০ জুন ২০২২, ০৯:২৭ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ২০ জুন ২০২২, ০৯:২৭ অপরাহ্ণ

১৪ বছর ধরে ছদ্মবেশে দেশের বিভিন্ন স্থানে ঘুরে বেড়িয়েও শেষ রক্ষা হয়নি নরসিংদীর পলা’শ উপজে’লার ডাঙ্গা ইউনিয়নের গালিমপুর গ্রামে বাবা-ছেলেকে গ’লা কে’টে হ’’ত্যা মা’মলাসহ একাধিক হ’’ত্যা মা’মলার ফাঁ’সির মৃ’ত্যুদ’ণ্ডপ্রাপ্ত তিন আ’সামির। আজ সোমবার বিকেলে গো’পন সংবাদের ভিত্তিতে পলা’শ থানার ওসি মোহাম্ম’দ ইলিয়াছের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম গাজীপুর সদর উপজে’লার আমবাগ এলাকা থেকে তাদের গ্রে’প্তার করে।

গ্রে’প্তারকৃতরা হলেন উপজে’লার ডাঙ্গা ইউনিয়নের গালিমপুর গ্রামের মৃ’ত মইজ উদ্দিনের ছেলে আলেক মিয়া (৬৫), তার ছেলে শরীফ মিয়া (৩৮) ও আলেক মিয়ার স্ত্রী মোসা. রুপবান (৫৭)। সোমবার বিকেলে জে’লা পুলিশ সুপারের সম্মেলনকক্ষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাহেব আলী পাঠান জানান, ২০০৯ সালের দিকে পলা’শ উপজে’লার ডাঙ্গা ইউনিয়নের গালিমপুর গ্রামের শামসুল হকের (৪৮) সঙ্গে জমিসংক্রান্ত বি’রোধে তাকে প্রকাশ্যে কু’পিয়ে ও গ’লা কে’টে হ’’ত্যা করা হয়।

শুধু তা-ই নয়, সেই একই জমি নিয়ে বি’রোধে ২০১৬ সালের দিকে শামসুল হক হ’’ত্যা মা’মলার বা’দী তার ছেলে জহিরুল হককেও (২৮) প্রকাশ্যে কু’পিয়ে ও গ’লা কে’টে হ’’ত্যা করেন ফাঁ’সির দ’ণ্ডপ্রাপ্তরা। ২০১৭ সালের ২২ মে তারিখে শামসুল হক হ’’ত্যা মা’মলায় মোট ১২ আ’সামি থেকে ছয়জনকে খালাস ও ছয়জনকে ফাঁ’সির আদেশ দেন নিম্ন আ’দালত। মৃ’ত্যুদ’ণ্ডপ্রাপ্ত ছয়জনের মধ্যে একজন জে’লহাজতে থাকলেও বাকিরা দীর্ঘ ১৪ বছর ধরে প’লাতক। তারা দেশের বিভিন্ন স্থানে ছদ্মবেশে ঘুরে ভিক্ষাবৃত্তি করে পুলিশকে ফাঁকি দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। এখনো শরাফত মিয়া ও আব্দুল গাফফার মিয়া প’লাতক রয়েছেন বলেও জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাহেব আলী পাঠান।

এদিকে স্বামী ও শ্বশুর হ’’ত্যা মা’মলার আ’সামিদের দ্রুত ফাঁ’সি কার্যকর করার দাবি জানিয়ে নি’হত জহিরুল হকের স্ত্রী রোজিনা আক্তার বলেন, ‘আমার স্বামী ও শ্বশুর হ’’ত্যার বিচার চাওয়ায় প্রতিনিয়ত আ’সামিদের ও আ’সামিপক্ষের হু’মকি-ধমকির কারণে দুই শি’শুস’ন্তান নিয়ে ভিটেবাড়ি ছেড়ে দীর্ঘ কয়েক বছর যাবৎ মানবেতর জীবন যাপন করছি। ‘

রোজিনা জানান, ২০১৬ সালের পহেলা বৈশাখ রাতে মেলা থেকে বাড়ি ফেরার পথে চিহ্নিত স’ন্ত্রাসীরা দুই স’ন্তানের চোখের সামনে তার দিনমজুর স্বামী জহিরুল হককে কু’পিয়ে ও গ’লা কে’টে হ’’ত্যা করে। এর আগে ২০০৯ সালের তার শ্বশুরকেও একইভাবে হ’’ত্যা করে তারা। তখন তার শাশুড়ি নূরজাহান বা’দী হয়ে ২০ জনের নামে মা’মলা করেন। পরে তার শাশুড়ি মা’রা গেলে মা’মলার বা’দী হন তার স্বামী জহিরুল।

তিনি বলেন, ‘আ’সামিরা তার স্বামীকে মা’মলা তুলে নিতে হু’মকি দিয়ে বলেছিল, তাকেও তার বাবা শামসুলের মতো হ’’ত্যা করা হবে। ঠিক একইভাবে আমার শ্বশুরের মতো করে আমার স্বামীকেও কু’পিয়ে ও গ’লা কে’টে হ’’ত্যা করেছিল আ’সামিরা। ‘

এ ঘটনায় পলা’শ থানায় ২২ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অ’জ্ঞাতপরিচয় আরো আটজনের বি’রুদ্ধে বা’দী হয়ে একটি হ’’ত্যা মা’মলা দা’য়ের করেছিলেন রোজিনা আক্তার। যা এখনো নরসিংদী জে’লা ও দায়রা জজ আ’দালতে চলমান। এর পর থেকেই আ’সামিরা ফোনে ও আ’সামিপক্ষের স্বজনরা সরাসরি হু’মকি দেওয়ার কারণেই তিনি স্বামীর বাড়ি ছেড়ে দীর্ঘ কয়েক বছর বাবার বাড়িতে ছিলেন।

পুলিশকে ধন্যবাদ জানিয়ে রোজিনা বলেন, ‘ফাঁ’সির দ’ণ্ডপ্রাপ্ত প’লাতক ওই দুই আ’সামিকে দ্রুত গ্রে’প্তার করাসহ গ্রে’প্তারকৃতদের দ্রুত ফাঁ’সি কার্যকর দেখতে চাই। ‘