কাপাসিয়ায় মানুষিক ভারসাম্যহীন মায়ের দুই কন্যাসন্তান নিয়ে শীতলক্ষ্যা নদীতে ঝাঁপ

| আপডেট :  ১৯ জুন ২০২২, ০৮:২৯ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ১৯ জুন ২০২২, ০৮:২৯ অপরাহ্ণ

শামসুল হুদা লিটন,কাপাসিয়া (গাজীপুর) থেকেঃ কাপাসিয়া উপজে’লার সিংহশ্রী এলাকায় শীতলক্ষ্যা নদীতে মানুষিক ভারসাম্যহীন এক মা দুই কন্যা স’ন্তানকে নিয়ে ঝাঁপ দেয়ার মতো ম’র্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে। এ সময় স্থানীয়রা এক কন্যা শি’শুকে উ’দ্ধার করলেও বাকী দুই জনের এখনো কোনো খোঁজখবর পাওয়া যায়নি।

এ হৃদয়বিদারক ঘটনাটি ঘটেছে রোববার দুপুর ১টার দিকে কাপাসিয়া উপজে’লার সিংহশ্রী গ্রামের বরামা- শীতলক্ষ্যা সেতু এলাকায়। নি’খোঁজ মা-মেয়েকে উ’দ্ধারে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল কাজ শুরু করেছে।

এ ঘটনায় নয় বছর বয়সী শি’শু তাহমিদা আক্তারকে স্থানীয় জে’লেরা উ’দ্ধার করলেও ৪০ বছর বয়সী মা আরিফা আক্তার ও তার সাত বছর বয়সী মেয়ে মুর্শিদা আক্তার নি’খোঁজ রয়েছেন।

নি’খোঁজ আরিফা আক্তার কাপাসিয়া উপজে’লার রায়েদ ইউনিয়নের বি’বাদিয়া গ্রামের মোহাম্ম’দ আলী মুন্সির মেয়ে ও একই গ্রামের মৃ’ত আবদুল মালেকের স্ত্রী।

সিংহশ্রী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আনোয়ার পারভেজ বলেন, দুপুর একটার দিকে স্থানীয়রা শীতলক্ষ্যা নদীতে মা-মেয়ে নি’খোঁজের বি’ষয়টি ফোন করে জানায়। এ সময় নদীর তীরে বাঁশের মাচা ধরে রাখা অবস্থায় ৯ বছর বয়সী শি’শু তাহমিদাকে উ’দ্ধার করা হয়েছে। ওই নারী পার্শ্ববর্তী রায়েদ ইউনিয়নের বাসিন্দা। তিনি মা’নসিকভাবে অ’সুস্থ ছিলেন বলে জানিয়েছেন স্বজনরা। সে কেন এখানে এসেছেন, আর পানিতেই কেন নেমেছেন তার কারণ এখনো জানা যায়নি।

আরিফার ভাই মোজাম্মেল হোসেন জানান, ১০/১২ বছর আগে স্থানীয় আবদুল মালেকের সাথে বোন আরিফার বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাদের সংসারে দুই মেয়ের জন্ম হয়। ২০২০ সালে স্বামী আবদুল মালেক মা’রা যাওয়ার পর থেকেই আরিফা মা’নসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েন।
উ’দ্ধার হওয়া শি’শু তাহমিদা জানান, রোববার সকালে তার মা জুতা, সিঙ্গারা ও জামা কাপড় কিনে দেয়ার কথা বলে তাদের দুই বোনকে নিয়ে বাজারের উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়। পরে শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে এসে দুই বোনকে নিয়ে নদীতে ঝাঁপ দেয়। এ সময় মায়ের হাত ফসকে নদীতে থাকা বাঁশের মাচা ধরে কা’ন্নাকাটি করতে থাকে শি’শু তাহমিদা। পরে মাছ ধরতে আসা জে’লেরা তাকে উ’দ্ধার করে।

কাপাসিয়া ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) সাবেদ আলী খান বলেন, উ’দ্ধার হওয়া শি’শু ও এলাকাবাসীর দেয়া তথ্য অনুযায়ী শীতলক্ষ্যা নদীতে এখনো মা ও মেয়ে নি’খোঁজ রয়েছে। টঙ্গী থেকে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরী দল ঘটনাস্থলে এসে উ’দ্ধার কাজ শুরু করেছে।