ফেসবুকে প্রেম, সুনামগঞ্জ থেকে কিশোরকে বগুড়ায় এনে ৩ সন্তানের জননীর সাথে বিয়ে

| আপডেট :  ১৯ জুন ২০২২, ১২:১৩ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ১৯ জুন ২০২২, ১২:১৩ অপরাহ্ণ

ফেসবুকে পরিচয় ও চ্যাটিং। এরপর প্রেম। এরই সূত্র ধরে সুনামগঞ্জ থেকে বগুড়ায় ডেকে এনে এক কি’শোরের সাথে বিয়ে দিয়েছে স্বামী পরিত্যক্তা তিন স’ন্তানের এক জননীকে।শনিবার বগুড়ার আশেকপুর ইউনিয়নের পারতেখুর এলাকাবাসী সূত্রে এ ঘটনার কথা জানা গেছে। কি’শোর জয়নাল (১৭) সুনামগঞ্জের ছাতক উপজে’লার বাজারগাও গ্রামের ইবরাহিম হোসেনের ছেলে। স্বামী পরিত্যাক্তা সখিনা বেগমের (৪০) ১২, ৯ ও ছয় বছর বয়সী ছেলে-মেয়ে রয়েছে।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, সখিনার চাল-চলনে অসন্তুষ্ট হয়ে কিছু দিন আগে স্বামী তাকে ফে’লে চলে যায়। এরপর থেকে তিনি ফেসবুক ও ভিডিও কলে বিভিন্ন ছেলের সাথে প্রেম করতেন। ১০ থেকে ১৫ দিন আগে ওই ছেলেকে প্রেমের প্রলোভনে ডেকে আনে সখিনা। এরপর লোকজনকে হাত করে দুই লাখ টাকা কাবিন ধরে বিয়ে পড়িয়ে দেয়।

কাবিননামায় দেখা যায়, নিজ এলাকা আশেকপুরের কাজির বাইরে অন্য এলাকা শাজাহানপুর উপজে’লার খরনা ইউনিয়নের বীরগ্রামের কাজি মুজাহিদকে দিয়ে বিয়ে পড়ানো হয়েছে। অভিভাবকহীন অপ্রাপ্ত বয়স্ক একটি ছেলের সাথে বিয়ের কাবিন বি’ষয়ে জানতে চাইলে ওই কাজি কিছুই জানেন না বলে জানান। সখিনা জানান, ফেসবুকে তার সাথে প্রেমের সম্পর্ক। তাকে বগুড়ায় আসতে বলায় সে উপজে’লার মাঝিড়া বন্দরে আসে। সেখান থেকে নিয়ে এসে কিছু লোক বিয়ে পড়িয়ে দেয়।

কি’শোর জয়নাল জানায়, সখিনার সাথে মোবাইলে পরিচয়। আমি জানি না তিনি তিন স’ন্তানের মা। আমাকে বগুড়ায় বেড়াতে আসতে বলে সখিনা। পরে কিছু লোক বাড়িতে নিয়ে ভ’য়-ভীতি দেখিয়ে বিয়ে পড়িয়ে দেয়। আমি এখন বাড়িতে যেতে চাই কিন্তু যেতে দিচ্ছে না।

এ ঘটনায় ৯৯৯ ফোন দিলে শাজাহানপুর থানার এসআই সাদ্দাম হোসেন, এসআই শামীম আহমেদ ও এসআই আবদুর রহমান ঘটনাস্থলে যান। তবে কি’শোরকে উ’দ্ধার না করে তারা ফেরত আসেন। এ বি’ষয়ে জানতে চাইলে তারা বলেন, যেহেতু বিয়ে হয়েছে সে ক্ষেত্রে কিছুই করার নেই।

এ বি’ষয়ে বগুড়া আ’দালতের আইনজীবী রহিমা খাতুন মেরী বলেন, দেশের আইনে ছেলেদের বিয়ের বয়স ২২ ও মেয়েদের ১৮ বছর। এক্ষেত্রে ছেলেটির বয়স কম ও নাবালক। তাই আইনের দৃষ্টিতে এ বিয়ে অ’বৈধ। তিন স’ন্তানের মা অবশ্যই সাবালক। তিনি অবশ্যই নাবালক একটি ছেলেকে প্রলোভন না দিলে এতো দুর আসেনি। তাই ছেলেটিকে উ’দ্ধার করে প্রকৃত তথ্য উদঘাটন করে বিচারের মুখোমুখি করা প্রয়োজন।