কষ্ট করে কাতার যেতে হয়নি, ট্রফিটাই চলে এসেছে বাংলাদেশে

| আপডেট :  ৮ জুন ২০২২, ০৯:৪৫ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ৮ জুন ২০২২, ০৯:৪৫ অপরাহ্ণ

২০১২ সালের নভেম্বরে ‘কাতার বিশ্বকাপ ২০২২’-এ খেলার লক্ষ্যের কথা প্রথম ঘোষণা করেছিলেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের প্রধান কাজী সালাউদ্দিন। পরের বছর ২০১৩ সালের জুনে জাতীয় দলের কোচ হিসেবে ডাচ্ কোচ লোডভিক ডি ক্রুইফ ও তার সহকারী রেনে কোস্টারকে আনুষ্ঠানিকভাবে চুক্তিপত্র তুলে দেওয়ার সময় আবারও ২০২২ বিশ্বকাপ খেলার লক্ষ্যের কথা বলেছিলেন সালাউদ্দিন।

সে সময় বাফুফে সভাপতি বলেছিলেন, ‘২০২২ সালে কাতার বিশ্বকাপে আমরা খেলবই। এর জন্য যা কিছু করা প্রয়োজন তার জন্য আমরা প্রস্তুত। আজ থেকে এই প্রতিজ্ঞা নিয়ে আমরা মাঠে নামলাম। কাতারে আমাদের পৌঁছাতেই হবে। আর সেজন্য আমাদের কঠোর পরিশ্রম করতে হবে এবং তা করতে আমরা প্রস্তুত।’

এরপর প্রায় একযুগ পার করেছে বাংলাদেশের ফুটবল। এই এক যুগে উন্নতি তো দূরে থাক অবনতিটাই দেখেছে দেশের ফুটবল। কত আলোচনা-সমালোচনা বর্তমান বাফুফে কর্তাদের নিয়ে, সেটা যেন তাদের এক কান দিয়ে ঢোকে, অন্য কান দিয়ে বের হয়।ও হ্যাঁ, কাতার বিশ্বকাপের পৌঁছানোর লক্ষ্যের কথা সালাউদ্দিন বললেও কষ্ট করে সেখানে যেতে হয়নি। কে নেবে এত ঝক্কি-ঝামেলা! তাই হয়তো বিশ্বকাপের ট্রফিটাই চলে এসেছে বাংলাদেশে।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে বিশ্বকাপ ট্রফি এসে পৌঁছায় হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন সালাউদ্দিন। কিন্তু এবার আর বলতে পারেননি তার লক্ষ্যের কথা।বাংলাদেশের বিশ্বকাপ খেলা প্রসঙ্গ উঠতে সালাউদ্দিন বলেছেন, ‘এটা কেউ বলতে পারবে না। এটা খেলোয়াড়দের ওপর নির্ভর করে। আমরা চেষ্টা করতে পারি শুধু, কাজ করতে পারি। এটা নতুন ও পুরনো খেলোয়াড়দের কাজ। এ জন্য আমরা সবাই মিলে কাজ করতে পারি।’

এ সময় সালাউদ্দিন বলেছেন, এই ট্রফি অনুপ্রেরণা জোগাবে কোচ, খেলোয়াড়দের। যাতে তাদের ভেতর এই বিশ্বকাপ খেলার লোভটা কাজ করে।

‘একজন সংগঠক হিসেবে কষ্ট করে ট্রফিটি নিয়ে আসা হয়েছে। ভবিষ্যতে আমরা তো খেলতে পারব না, খেলবে কোচ ও খেলোয়াড়রা। এটা যেন খেলোয়াড়, কোচ ও ক্লাবদের উজ্জীবিত করে।’ বিশ্বকাপ ট্রফি যদি উজ্জীবিত করে বাংলাদেশকে বিশ্বকাপে নিয়ে যেত তাহলে অন্তত এতদিনে বিশ্বকাপে খেলতে পারত বাংলাদেশ। কেন না, ২০১৩ সালেও বাংলাদেশে এসেছিল বিশ্বকাপের ট্রফি। সে ট্রফি কি তাহলে উজ্জীবিত করতে করতে পারেনি বাংলাদেশকে!