সাইড না দেওয়ায় অ’ন্তঃসত্ত্বা নারীকে পে’টালেন ছাত্রলীগ কর্মী

| আপডেট :  ৮ জুন ২০২২, ০৪:০৯ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ৮ জুন ২০২২, ০৪:০৯ অপরাহ্ণ

রাস্তায় যাওয়ার সময় সাইড দেওয়া নিয়ে লক্ষ্মীপুরে দুই মোটরসাইকেল আরোহীর মধ্যে কথা-কা’টাকাটি হয়। এক পর্যায়ে অ’ন্তঃসত্ত্বা নারী ও স্বামীকে মা’রধর করার অ’ভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগ কর্মীর বি’রুদ্ধে।মঙ্গলবার (৭ জুন) বিকেলে পৌরসভার নুড়িগাছতলা এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। আ’হত নাছিমা ও সালাউদ্দিনকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

আ’হত ব্যক্তিরা হলেন, নাছিমা আক্তার (২৫) সদর উপজে’লার পশ্চিম সহিদপুর গ্রামের সালাউদ্দিনের স্ত্রী। তিনি লাহারকান্দি ইউনিয়নের বাইশমা’রা ইসলামি ব্যাংক এজেন্ড শাখার অফিস সহকারী হিসাবে কর্মরত আছে। অপরদিকে সালাউদ্দিন (৩১) একই এলাকার সহিদ উল্ল্যাহর ছেলে।অ’ভিযুক্ত ব্যক্তি হলেন, পৌরসভার লাহারকান্দি গ্রামের মো. জাহাঙ্গীরের ছেলে ইমন হোসেন। তিনি স্থানীয় ওয়ার্ড ছাত্রলীগের কর্মী।

হাসপাতালে আ’হত অবস্থায় নাছিমা আক্তার বলেন, স্বামীর মোটরসাইকেলে করে বিকেলে বাড়ির উদ্দেশ্য যাচ্ছিলাম। আমাদের গাড়ি বাইশমা’রার সমর উদ্দিন বাড়ির সামনে পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা মোটরসাইকেলকে সাইড দেওয়া নিয়ে কথা-কা’টাকাটি হয়। এক পর্যায়ে চালক ইমন (অ’ভিযুক্ত) আমার স্বামীকে ঘুসি দিতে থাকে। পরে স্থানীয় লোকজন ঝ’গড়া থামিয়ে উভ’য়কে মিলমিশ করে দেয়। তাতেও শান্ত হয়নি ইমন। অ’শ্লীল ভাষায় গালমন্দ করতে থাকেন আমাদের।

পরবর্তীতে পুনরায় বাড়ির উদ্দেশে রওনা করি আমরা। কিন্তু ইমন মোটরসাইকেল নিয়ে আমাদের পিছনে পিছনে আসতে থাকে। মোটরসাইকেলটি পৌরসভার নুড়িগাছতলা এলাকায় আসলে ইমন ও তার সঙ্গে থাকা ৭-৮ জন আমাদের লা’ঠি ও র’ড দিয়ে এলোপতাড়ি মা’রধর করতে থাকে। এতে আমার পেট ও শরিরে মা’রাত্মক আ’ঘাত লাগে। সালাউদ্দিনের মাথা, পাসহ পুরো শরীরে মা’রধর করা হয়। তাছাড়া ইমনরা আমার ব্যাগে থাকা নগদ ৬৮ হাজার টাকা ও কানের দুল এবং গ’লার চেইন নিয়ে যায়। তবে ইমনকে ছাড়া বাকিদের চিনতে পারিনি।

আ’হত অ’ন্তঃসত্ত্বা নারীর ভাই জহির উদ্দিন বলেন, ইমন উচ্ছৃঙ্খল প্রকৃতির ছেলে। সে সব সময় ১০ থেকে ১৫ জনের গ্রুপ নিয়ে রাস্তায় চলাচল করে। তাছাড়া ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকায় স্থানীয়রা ভ’য়ে ওর কোনো অন্যায়ের প্র’তিবাদ করছে না।

তিনি আরও বলেন, সড়কে মোটরসাইকেল সাইড দেওয়াটা হচ্ছে একটা অযুহাত মাত্র। মূলত, নাছিমা ব্যাংকে চাকরি করে, ওর কাছে সব সময় নগদ টাকা ও স্বর্ণের গয়না থাকে। তাছাড়া প্রতিদিন এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করে। ইমনরা সবকিছু জেনেই পরিকল্পিতভাবে ছি’নতাইয়ের উদ্দেশে এ হা’মলা করেছে। এ ঘটনায় অ’ভিযুক্তদের আ’সামি করে থানায় মা’মলা করা হবে।

অ’ভিযোগের বি’ষয়ে পৌরসভার ১২ নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগ কর্মী ইমনের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তফা কামাল বলেন, বি’ষয়টি নিয়ে কেউ অ’ভিযোগ করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।