সব
শামসুল হুদা লিটন, কাপাসিয়া (গাজীপুর) থেকেঃ কাপাসিয়ায় প্রায় দুই বছর ধরে চার দেয়ালে আবদ্ধ ঘরে শিকল বন্দী কবির হোসেন নামে এক যুবক। আবদ্ধ ঘরে প্রায় ১০ ফুট লম্বা শিকলে আটকে আছে তার জীবন যৌবন। এভাবেই অতিবাহিত হচ্ছে দিন, মাস ও বছর। সম্পদের লোভে শিকলে বেঁধে ঘরে আটকে রাখা হয়েছে কবিরকে।
কাপাসিয়া উপজেলার রায়েদ ইউনিয়নের বিবাদীয়া গ্রামে এমন ঘৃণ্য ঘটনার জন্ম দিয়েছেন সৌদি প্রবাসী নূরু হোসেনের স্ত্রী তানিয়া ও তার শাশুড়ী। জানা যায়, বিবাদীয়া এলাকার আকবর আলী (৭৫) এর ছেলে কবির হোসেন (৩০)। পিতা পুত্র একই ঘরে বন্দী। দরজার সাথে প্রায় ১০ ফুট শিকল দিয়ে বাঁধা ছেলের পা। চার দেয়ালে বন্দী থেকে অনেকটাই মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েছেন পিতা-পুত্র দুজনেই।
স্ত্রী কে হারিয়ে আকবর আলী শিকল বন্দী ছেলে কবিরের একমাত্র সঙ্গী। প্রবাসী ছেলের বৌ ও তার শ্বাশুরি বিলাসবহুল পাকা ঘরে থাকেন। এতো বড় পাকা বাড়ির ছোট্ট একটি মাটির ঘরে বন্দী করে রাখা হয়েছে শ্বশুর ও দেবরকে। ভুক্তভোগীকে দেখার জন্য বাড়িতে প্রবেশে থাকে কড়াকড়ি। মাঝে মধ্যে তাদের বেষ্টনীতে দেখার সুযোগ থাকলেও শর্ত থাকে তোলা যাবেনা ছবি ও করা যাবেনা ভিডিও। শর্তভঙ্গ হলেই দেখানো হয় পুলিশের ভয়, শুনতে হয় কটুকথা। শিকল বন্দী কবির ও তার পিতা আকবর আলী সাংবাদিকের সাথে কথা বলতে চাইলে দমক দিয়ে তাদের কথা বন্ধ করে দেয় ভাবি তানিয়া। শিকল বন্দী কবির জানান আমি ভালো নেই।
ভাবি তানিয়া বলেন, কবির কোথাও হাড়িয়ে যেতে পারে এজন্যই শিকলে বেঁধে রেখেছি। তাকে নিয়ে কোন নিউজ করবেন না। রায়েদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শফিকুল হাকিম মোল্যা বলেন, ঘটনাটি আমি শুনেছি। সরেজমিনে দেখে বলতে পারব আসল ঘটনা কি,রহস্য কী।
এ ব্যাপার উপজেলা সমাজ সেবা অফিসার নিলুফা বেগম বলেন, আমি দ্রুত খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করিব। এলাকার লোকজন এ ঘটনার প্রকৃত রহস্য উদঘাটনের দাবী জানিয়েছেন।