পৈত্রিক ভিটা থেকেই টাকা হাতিয়ে নেয়ার হাতেখড়ি পি কে হালদারের, করা হয়েছিল জুতাপেটা

| আপডেট :  ১৬ মে ২০২২, ১০:৫৭ পূর্বাহ্ণ | প্রকাশিত :  ১৬ মে ২০২২, ১০:৫৭ পূর্বাহ্ণ

প্রশান্ত কুমার হালদার ওরফে পি কে হালদার। দেশজুড়ে আলোচিত এক নাম। হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পা’চারের পর অবশেষে ধরা পড়েছেন ভারতে। তার জন্মভূমি পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজে’লার দীঘিরজান গ্রামে গিয়ে জানা গেলো, প্রশান্ত কুমার হালদার ওরফে পি কে হালদারের টাকা হাতিয়ে নেয়ার হাতেখড়ি এই গ্রাম থেকেই।

২০০২ সালে স্থানীয় একটি স্কুল ফান্ডের টাকা হাতিয়ে নেয়ার অ’ভিযোগ ওঠে ম্যানেজিং কমিটির তৎকালীন সভাপতি পি কে এর বি’রুদ্ধে। এ নিয়ে স্থানীয়ভাবে বিচারের পর আর কখনও তাকে প্রকাশ্যে এলাকায় দেখা যায়নি বলে জানিয়েছে এলাকাবাসী। জানা গেছে, ওই বিচারে জুতাপেটা করা হয়েছিল তাকে। পরবর্তীতে পিকে হালদারকে একজন বড় ব্যবসায়ী হিসেবে জানতেন স্থানীয়রা। তার অ’পকর্মের দৃষ্টান্তমূলক শা’স্তি চান তারা।

পিকে হালদারের জন্ম পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজে’লার দিঘীরজান গ্রামে। এলাকাবাসী বলছেন, টাকা হাতিয়ে নেয়ার হাতে খড়ি তার নিজ জন্মভূমি থেকেই। স্থানীয় দীঘিরজান মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ছিলেন পিকে। তার বি’রুদ্ধে আর্থিক অনিয়মের অ’ভিযোগে ২০০২ সালে স্কুল কমিটির মিটিংয়ে ব্যাপক হট্টগোল হয়। বিচারে পিকে হালদারকে জুতাপেটা করা হয় বলেও জানা গেছে।

আগে প্রায়ই এলাকায় গেলেও, সেই ঘটনার পর থেকে আর কখনও পি কে হালদারকে গ্রামে প্রকাশ্যে দেখা যায়নি বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। পি কের বাবা পেশায় দর্জি ছিলেন, আর মা ছিলেন স্কুল শিক্ষিকা। বাবার মৃ’ত্যুর পর গ্রামের বাড়িতেই থাকতেন তার মা। তবে, স্কুল ফান্ড কেলংকারির পর মাকে ঢাকায় নিজের কাছে নিয়ে আসেন পি কে।

স্থানীয়রা জানালেন, বিশ বছর মতো হয়েছে এই বাড়িতে আসে না তারা, এলাকার কারো সাথে যোগাযোগ নেই ওদের। আমরা খুব ভালভাবেই জানতাম ও বুঝতাম যে উনি একজন মেধাবী মানুষ, কিন্তু এটাও জানতাম যে তিনি তার মেধা ভাল কাজে ব্যবহার করবেন না। খুব মজার ব্যাপার হচ্ছে যে উনি তার পৈত্রিক বাড়িটিও বিক্রি করে দিয়েছেন।এলাকাবাসীর কাছে বড় ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত ছিলেন পিকে। তার অন্যতম সহযোগী ছিলেন স্থানীয় সুকুমার মৃধা। পিকে ও তার সহযোগীদের অ’পকর্মের দৃষ্টান্তমূলক শা’স্তি চান এলাকাবাসী।

পিরোজপুরের সুশাসনের জন্য প্রচারাভিযান নামক একটি সংগঠনের সভাপতি গৌতম চৌধুরী বলেন, টাকাগু’লি আ’ত্মসাৎ করে বিদেশে পা’চার করেছে। এটা দেখভালের দায়িত্বে যারা তারা কেনো নিরব রয়েছে? রাষ্ট্রকে অবশ্যই তাদের দৃষ্টান্তমূলক শা’স্তি নিশ্চিত করতে হবে।পিকে হালদারের সহযোগী সুকুমার মৃধা দুদকের মা’মলায় বর্তমানে কা’রাগারে রয়েছে। তার বাড়ি পড়ে রয়েছে তালাবদ্ধ অবস্থায়।