যে গ্রামের মানুষেরা এক দেশে খেয়ে আরেক দেশে ঘুমাতে যান

| আপডেট :  ৮ মে ২০২২, ০৯:০৬ পূর্বাহ্ণ | প্রকাশিত :  ৮ মে ২০২২, ০৯:০৬ পূর্বাহ্ণ

ভিন্ন খবর: যদি এমনটি হয়, আপনি খাবার খাচ্ছেন একদেশে আর ঘুমাতে যাচ্ছেন আরেক দেশে। কি অদ্ভুত একটি বিষয় তাই না! শুনতে অবাক লাগলেও এমনটাই করেন ভারতের একটি গ্রামের মানুষেরা।

ভারতের কিছু প্রত্যন্ত অঞ্চলের গ্রামের রয়েছে নিজস্ব বৈশিষ্ট্য। শুধু ভৌগোলিক অঞ্চলের উপর ভিত্তি করে এই বৈশিষ্ট্য গড়ে ওঠেনি, বরং তা হয়েছে ভাষা, পোশাক, রীতি, খাদ্যাভ্যাসের উপর ভিত্তি করেও। ভারতের প্রায় ৭০ ভাগ মানুষ এখনো গ্রামে বাস করে।

ভারতে রয়েছে অদ্ভুত একটি গ্রাম যার অবস্থানগত বৈশিষ্ট্য অবাক করে দেয় সবাইকে। মজার বিষয় হলো এখানে বসবাসকারী বহু মানুষের বাড়ির রান্নাঘর ও শোয়ার ঘর রয়েছে দুই দেশের মধ্যে। শুনতে অদ্ভুত মনে হলেও ঠিক এমনই এক গ্রাম রয়েছে ভারতবর্ষের মধ্যেই।

এখানকার গ্রামবাসীদের সীমান্ত পার হতে কোনো ভিসার প্রয়োজন হয় না। গ্রামটির নাম লংওয়া। এই গ্রামটি নাগাল্যান্ডে অবস্থিত। এই গ্রামের ঠিক মাঝখান দিয়ে চলে গিয়েছে ভারত ও মায়ানমার সীমান্ত। সাধারণত কোনিয়াক আদিবাসীদের বসবাস এই গ্রামে। ঘন জঙ্গলের মাঝে মায়ানমার সীমান্ত সংলগ্ন ভারতের শেষ গ্রাম হলো লংওয়া।

উল্লেখ্য, মায়ানমারের পাশে প্রায় ২৭ টি কোনিয়াক গ্রাম রয়েছে বলে জানা যায়। ১৯৬০ সাল পর্যন্ত এই গ্রামে ‘হেড হান্টিং’ ছিল একটি জনপ্রিয় রীতি। শোনা যায়, লংওয়া গ্রামে রাজার মোট ৬০ জন স্ত্রী রয়েছেন। অর্থাৎ গ্রামের বংশানুক্রমিক প্রধানের ৬০ জন স্ত্রী থাকেন।

এই গ্রামের নির্জন পরিবেশ যে কাউকে মুগ্ধ করে তুলবে। লংওয়া গ্রামের কাছেই বেশ কয়েকটি পর্যটন কেন্দ্র রয়েছে। গ্রামটি মন শহর থেকে ৪২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।