বিদেশ থেকে ফিরে হতভম্ব স্বামী, স্ত্রীর নামে ঋণ ৬৮ লাখ টাকা

| আপডেট :  ২৪ এপ্রিল ২০২২, ১০:৩০ পূর্বাহ্ণ | প্রকাশিত :  ২৪ এপ্রিল ২০২২, ১০:৩০ পূর্বাহ্ণ

সারাদেশ: সাত বছর পর দেশে ফিরে এসে ফ্রান্স প্রবাসী রবিউল আলম সোহেল (৪৫) জানতে পারেন তার স্ত্রী বিভিন্ন এনজিও থেকে লোন নিয়েছেন অর্ধ কোটি টাকারও বেশি। ঋণের বোঝা এখন সোহেলের কাঁধে। গত জানুয়ারি মাসে দেশে ফিরে আসেন রবিউল আলম সোহেল। কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার সোমেশ্বর গ্রামের বাসিন্দা সোহেল জীবনের সমস্ত উপার্জন তুলে দিয়েছিলেন স্ত্রীর হাতে। অথচ দেশে ফিরে এসে জানতে পারেন সাতটি এনজিওতে ৬৮ লাখ টাকার ঋণ রয়েছে।

সোহেল জানিয়েছেন এই ঋণ তার পক্ষে শোধ করা সম্ভব নয়। রেমিটেন্স ঋণ দিতে গেলে অবশ্যই প্রবাসী ব্যক্তির সাথে কথা বলে তারপর নিয়ম মেনে নিতে হয় এনজিওগুলোর। সেটিই না করে তারা কিভাবে আমার স্ত্রীকে ঋণ দিল। সাত বছর পর দেশে এখন আমি নিঃস্ব। এনজিওগুলো ভুয়া কাগজপত্র বানিয়ে আমার স্ত্রীকে ঋণ দিয়েছে এখানে অবশ্যই তাদের স্বার্থ রয়েছে।

জানা গেছে রবিউল এর স্ত্রী মারিয়া মোট ৬৮ লাখ টাকা ঋণ নিয়েছিলেন যার ৪৬ লাখ টাকা পরিশোধ করেছেন। রবিউল বলেন আমি একটি ফোন কল এর সূত্র থেকে জানতে পারি আমার অগোচরে মারিয়া লোন নিয়েছে। কিন্তু আমার প্রশ্ন হচ্ছে কিভাবে তারা এতগুলো টাকা আমার স্ত্রীকে ঋণ দিল।

এদিকে এনজিওগুলোর মধ্যে গাকের ফিল্ড অফিসার রিপন জানান, তিনি মারিয়া আফরিনের মোবাইল ফোনে তার স্বামীর সঙ্গে কথা বলেই ঋণ দিয়েছেন। সেক্ষেত্রে ফোনের ওই পাশে কে ছিল তা তিনি নিশ্চিত নন। একই কথা বলেন এসএসএস এর ফিল্ড অফিসার বিপ্লব ভদ্র। তিনি বলেন, এসএসএস থেকে মারিয়া এখন পর্যন্ত পাঁচ বার ঋণ নিয়েছেন। প্রতিবারই ঋণ দেয়ার সময় যতটুকু কাগজপত্র রাখা দরকার। আমরা রেখেছি।

এছাড়া সিসিডিএ ভরাসার শাখার ব্রাঞ্চ ম্যানেজার কাউছার আলম বলেন, মারিয়ার স্বামী ফোনে বলেছেন, তার শ্বশুর সব জানে। মারিয়াকে ঋণ দিলে কোনো সমস্যা নেই। আমরা নিয়ম মেনেই ঋণ দিয়েছি।