প’রকিয়ার জে’রে জেলা আ.লীগ নে’তার সাবেক স্ত্রী কা’রাগারে

| আপডেট :  ২৫ ডিসেম্বর ২০২০, ০৩:০১ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ২৫ ডিসেম্বর ২০২০, ০২:১২ অপরাহ্ণ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প’রকিয়ার জে’রে প্রে’মিকা ফারজানা রতন সোনিয়া এখন কারাগারে। কানাডা থেকে দেশে ফেরার পরই মঙ্গলবার ঢাকা বিমানবন্দর ইমিগ্রেশন পু’লিশ তাকে গ্’রেফতার করে। পরে তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর থানা পু’লিশের কাছে সোপর্দ করা হয়।

সোনিয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল হান্নান রতনের সা’বেক স্ত্রী। স্’বামীর ঘরে থেকেই জেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ তৌফিক আহমেদের স’ঙ্গে প’রকিয়ায় জ’ড়িয়ে পড়েন সোনিয়া। মোবাইল ফোনে অ’শ্লীল ও কু’রুচিপূর্ণ ক’থাবার্তার ভিত্তিতে ২০১৬ সালের জুন মাসে ঢাকা গুলশান থানায় আইসিটি আইনে মা’মলা করেন সোনিয়ার স্বামী আবদুল হান্নান রতন। পরে মা’মলাটি সাইবার ট্রাই’ব্যুনালে স্থানান্তরিত হয়। ওই আ’দালতে মা’মলাটির চার্জশিট গঠন করে তৌফিক ও সোনিয়াকে আ’সামি করা হয়।

২২ ডিসেম্বর সোনিয়া কানাডা থেকে দেশে ফেরার পর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ইমিগ্রেশন পু’লিশ তাকে গ্রে’ফতার করে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরের শ্রীরামপুরে গ্রামের বাড়ি হওয়ায় ওই থানা পুলিশের কাছে তাকে সো’পর্দ করা হয়।

এই ব্যাপারে নবীনগর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আমিনুর রশিদ শুক্রবার সন্ধ্যায় জানান, সোনিয়াকে পরদিনই ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আদালতে প্রেরণ করেছেন তারা। আ’দালত তাকে জে’ল ‘হাজ’তে পাঠায়। এরপর বৃহস্পতিবার তার জামিনের জন্যে আবেদন করলে আ’দালত তার জামিন নামঞ্জুর করেন।

এর আগে ৩ ডিসেম্বর স্’বামী আবদুল হান্নান রতনকে হ’/ত্যা চে’ষ্টা মাম’লায় সোনিয়া ও তার প’রকিয়া প্রে’মিক জেলা আওয়ামী লীগ নেতা সৈয়দ তৌফিক আহমেদকে ঢাকা মহানগর চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত এক বছরের কা’রাদণ্ড প্রদান করেন। এই সময় পাঁচশ টাকা জ’রিমানা অনাদায়ে আরও ১৫ দিনের কা’রাদণ্ড প্রদান করেন আদালত। আদালতে অনুপস্থিত থাকায় আদালত সোনিয়ার বি’রুদ্ধে সা’জা ও গ্’রেফতারি প’রোয়ানা জারি করেন।

এই মা’মলায় অ’ভিযোগ করা হয়, জেলা আ.লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল হান্নান রতনকে ২০১৬ সালের পহেলা মে রাত ৯টার দিকে ঢাকার গুলশান এলাকার ১২১/১২২ নম্বর রোডের মাঝখানে তার সা’বেক স্ত্রী সোনিয়া ও প’রকিয়া প্রে’মিক সৈয়দ তৌফিক আহমেদ হ’/ত্যার চে’ষ্টা করেন। এ সময় অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান রতন। এই ঘটনায় ওই রাতেই আবদুল হান্নান রতন বাদি হয়ে গুলশান থানায় একটি সাধারণ ডাইরি করেন। গুলশান থানা পুলিশ তদন্ত করে আদালতে অভিযোগ পত্র দাখিল করে।