ছাত্রীর সঙ্গে সম্পর্ক, কলেজশিক্ষকের তৃতীয় স্ত্রীর মামলা

| আপডেট :  ৪ এপ্রিল ২০২২, ০৯:৫৬ পূর্বাহ্ণ | প্রকাশিত :  ৪ এপ্রিল ২০২২, ০৯:৫৬ পূর্বাহ্ণ

শরীয়তপুরের গোসাইরহাট উপজে’লার স’রকারি শামসুর রহমান কলেজের এক শিক্ষকের বি’রুদ্ধে তাঁর তৃতীয় স্ত্রীর অ’ভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ত’দন্তের নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা অধিদপ্তর। তিনি কলেজটির হিসাববিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক মো. মামুন। তার বি’রুদ্ধে অ’ভিযোগ পেয়ে তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি ত’দন্ত কমিটি গঠন করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর। কমিটিকে ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক লোকমান হোসেন স্বাক্ষরিত এক নোটিশে এ নির্দেশ দেওয়া হয়।

মামুন বরিশালের মুলাদী থানার সেলিমপুর গ্রামের কাদের হাওলাদারের ছেলে। মামুনের তৃতীয় স্ত্রী মোসাম্মৎ তামান্না একই থানার পশ্চিম বানীমর্দন এলাকার দেলোয়ার হোসেনের মেয়ে। মামুনের আগের দুটি বিয়ে বিচ্ছেদ হয়েছে। এর আগে কলেজের এক ছাত্রীর সঙ্গে অ’নৈতিক সম্পর্কের জেরে দাম্পত্য ক’লহ দেখা দিলে স্ত্রীর মা’মলায় দুইবার জে’লও খাটেন মামুন।

জানা যায়, ২০১৮ সালের ৮ জানুয়ারি তামান্নার সঙ্গে মামুনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর যৌ’তুকের দাবিতে শা’রীরিক ও মা’নসিক নি’র্যাতনের অ’ভিযোগে মা’মলা করেন তামান্না। মা’মলায় দুবার জে’ল খাটেন মামুন। দাম্পত্যজীবন পুনর্বহালের আপস মীমাংসার অঙ্গীকারনামায় স্বাক্ষর করে বরিশালের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যা’জিস্ট্রেট আ’দালত থেকে জা’মিন নেন। কিন্তু জে’ল থেকে বের হয়ে আর খোঁজখবর নিচ্ছেন না বলে অ’ভিযোগ তামান্নার। পরে মা’মলার নথি ও অন্যান্য কাগজপত্রসহ স’রকারি শামসুর রহমান কলেজের অধ্যক্ষ বরাবর লিখিত অ’ভিযোগ করেন তিনি।

অ’ভিযোগের কপি মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরেও পাঠান তামান্না। অ’ভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কলেজের অধ্যক্ষ মো. ফজলুল হক ফৌজদারি মা’মলায় প্রভাষক মামুনের জে’লহাজতে থাকার বি’ষয়টি জানিয়ে পরবর্তী করণীয় সম্পর্কে নির্দেশনা চেয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর চিঠি পাঠান।

অ’ভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গত ২২ মার্চ মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক লোকমান হোসেন স্বাক্ষরিত এক নোটিশে মামুনের বি’রুদ্ধে অ’ভিযোগের বি’ষয়টি ত’দন্তের জন্য কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির সদস্যরা হলেন— স’রকারি মাদারীপুর কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. জামান মিয়া, শরীয়তপুর স’রকারি কলেজের উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক মিজানুর রহমান, স’রকারি মাদারীপুর কলেজের উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক বেদানন্দ হালদার।

অ’ভিযোগের বি’ষয়ে তামান্না বলেন, আগের দুটি বিয়ের কথা গো’পন রেখে আমাকে বিয়ে করলেও আমি মেনে নিয়েছিলাম। কিন্তু সে এখন আমাকে স্ত্রীর মর্যাদা না দিয়ে এক ছাত্রীর সঙ্গে অ’নৈতিক সম্পর্কে লিপ্ত হয়েছে। বি’ষয়টি নিয়ে দাম্পত্য অশান্তি শুরু হয়। আমার বি’রুদ্ধে বিভিন্ন কুরুচিপূর্ণ কথাবার্তা এলাকায় ছড়িয়েছে। শেষ পর্যন্ত স্বামীর বি’রুদ্ধে মা’মলা করতে বা’ধ্য হয়েছি।

অ’ভিযোগ ও ত’দন্তের বি’ষয়ে মামুনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখন হাতে সময় কম, অন্য একদিন সময় নিয়ে আসেন, বিস্তারিত বলব। শিক্ষা অধিদপ্তরের ত’দন্তের বি’ষয়ে আমার কিছু জানা নেই। কলেজের অধ্যক্ষ মো. ফজলুল হক বলেন, প্রভাষক মামুনের স্ত্রীর অ’ভিযোগ ও মা’মলার কাগজপত্রসহ করণীয় সম্পর্কে জানতে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর পত্র প্রেরণ করেছি। তবে অধিদপ্তরের ত’দন্ত কমিটির নোটিশের কোনো চিঠি এখনো হাতে পাইনি।