শিক্ষককে লা’থি মারায় কলেজ ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত

| আপডেট :  ৩১ মার্চ ২০২২, ১২:৪২ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ৩১ মার্চ ২০২২, ১২:৪২ অপরাহ্ণ

খাবারের দাওয়াত না দেওয়ায় শিক্ষককে লা’থি মা’রার অ’ভিযোগে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স’রকারি কলেজ (শরীয়তপুর) শাখা ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে।বৃহস্পতিবার (৩১ মার্চ) সকালে শরীয়তপুর জে’লা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক মো. মহসিন মাদবর ও যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ উজ্জামান রাশেদের স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে প্রকাশ করা হয়। এর আগে বুধবার (৩০ মার্চ) বিকেলে ওই কলেজের ৩০২ নম্বর রুমে এ ঘটনা ঘটে।অ’ভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতার নাম সোহাগ বেপারী। তিনি ওই কলেজের কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি।

কলেজের শিক্ষকদের কাছ থেকে জানা যায়, বুধবার (৩০ মার্চ) কলেজের বাংলা বিভাগের স্নাতক সম্মান (অনার্স) চতুর্থ বর্ষের মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হয়। মৌখিক পরীক্ষা নিতে জাতীয় বিশ্ব বিদ্যালয়ের দুজন বিশেষজ্ঞ ও একটি স’রকারি কলেজের অধ্যক্ষ উপস্থিত ছিলেন। মৌখিক পরীক্ষা শেষে কলেজের বাংলা বিভাগের পক্ষ থেকে তাদের খাবার-দাবারের আয়োজন করা হয় ও শুভেচ্ছা জানানো হয়।

এই আয়োজনে ছাত্রলীগ নেতাদের দাওয়াত দেওয়া হয়নি। কেন ছাত্রলীগ নেতাদের দাওয়াত দেওয়া হয়নি, তা জানতে কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সোহাগ বেপারী ও সাধারণ সম্পাদক রাশেল জমাদ্দার কয়েকজন ছাত্রলীগ কর্মীকে নিয়ে বিকেল ৪টার দিকে বাংলা বিভাগে আসেন। সেখানে তারা বাংলা বিভাগের একজন শিক্ষককে এ বি’ষয়ে জবাবদিহি করতে বলেন। তিনি তখন একটি অনলাইন প্রশিক্ষণে ব্যস্ত ছিলেন। বি’ষয়টি নিয়ে বিভাগীয় প্রধানের সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন ছাত্রলীগ নেতাদের। তখন সোহাগ বেপারী ওই শিক্ষককে লা’থি ও কিল-ঘু’ষি মা’রেন। এ সময় অন্য শিক্ষকরা এসে ভু’ক্তভোগী শিক্ষককে উ’দ্ধার করেন।

অ’ভিযুক্ত সোহাগ বেপারী অ’ভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, স্যারদের সঙ্গে অন্য বি’ষয়ে কথা হয়েছে। তবে শিক্ষককে লা’থি ও কিল-ঘু’ষি মা’রার অ’ভিযোগ সত্য নয়। আমি কোনো রাজনৈতিক ষ’ড়যন্ত্রের শি’কার হতে পারি।

শরীয়তপুর জে’লা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক মো. মহসিন মাদবর বলেন, কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সোহাগ বেপারীর বি’রুদ্ধে এক শিক্ষকের সঙ্গে শা’রীরিকভাবে লা’ঞ্ছিত করার অ’ভিযোগ পাওয়া গেছে। তাই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স’রকারি কলেজ (শরীয়তপুর) শাখা ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে।

ভু’ক্তভোগী শিক্ষক বলেন, ছাত্রলীগের সভাপতি সোহাগ বেপারী ২০-২৫ জন কর্মী নিয়ে বাংলা বিভাগে আসে। আমাদের বলে, খাওয়া-দাওয়ার অনুষ্ঠানে তাদেরকে কেন দাওয়াত দেয়নি। এ নিয়ে আমার সঙ্গে বা’গবি’ত’ণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে সোহাগ আমার বিভাগীয় প্রধান মো. ওয়ারেসুল আজমের সামনে আমাকে লা’থি ও কিল ঘু’ষি মারে। বি’ষয়টি আমি অধ্যক্ষ স্যারকে ও শিক্ষক পরিষদের নেতাদের জানিয়েছি। তারা যে সিদ্ধান্ত দেবেন তাই মেনে নেব।

এ বি’ষয়ে কলেজের অধ্যক্ষ হারুন অর রশিদ বলেন, ছাত্রলীগের যে নেতার বি’রুদ্ধে শিক্ষককে লা’ঞ্ছিত করার অ’ভিযোগ উঠেছে সে আমাদের কলেজের শিক্ষার্থী না। তাই তাকে ব’হিষ্কারও করতে পারছি না। বুধবার (৩০ মার্চ) রাতে শিক্ষক পরিষদের সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে তার বি’রুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।