তাহাজ্জুদ পড়তে যাওয়ার সময় নৃ’সংশভাবে হ’ত্যা

| আপডেট :  ৩১ মার্চ ২০২২, ১২:০৫ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ৩১ মার্চ ২০২২, ১২:০৫ অপরাহ্ণ

আধিপত্য বিস্তার ও আলু আনা নেয়ার ট্রলিকে কেন্দ্র করে প্রতি বছরই চরকেওয়ার ইউনিয়নে হ’’ত্যাকাণ্ড ঘটে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় তথ্য ম’ন্ত্রণালয়ের অবসরপ্রাপ্ত স’রকারি চাকুরীজীবির ছেলেকে হ’’ত্যা করে গু’ম করার চেষ্টা করেছে স’ন্ত্রাসী বাহিনী। এই বাহিনীর কি’শোর গ্যাংয়ের নেতৃত্বে রয়েছে রাসেল ঢালী (১৯)। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার ভোররাত সাড়ে ৪টার দিকে।

ঘটনার শি’কার হয়েছেন হাফিজ উদ্দিন ফকিরের ছেলে জুয়েল ফকির (৩০)। মসজিদে তাহাজ্জুদ নামাজ পড়তে যাওয়ার সময় তাকে হ’’ত্যা করা হয়। দক্ষিণ চ’রমশুরা গ্রামের পূর্ব পাশে বাচ্চু মিয়ার জমি থেকে তার লা’শ উ’দ্ধার করে পুলিশ।পরিবারের দাবি, হ’’ত্যাকাণ্ডটি পূর্ব পরিকল্পিত।জি’জ্ঞাসাবাদের জন্য মাহমুদ বেপারীর ছেলে নান্নু হাজীকে (৬০) আ’টক করেছে সদর থানা পুলিশ।

প্রতিবছরই দেলোয়ারের ট্রলি নিয়ে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে স’ন্ত্রাসী কার্যকলাপ করে থাকে। এ বছরও আলু উঠার সাথে সাথে ওই এলাকায় একমাত্র দেলোয়ারের ট্রলি দিয়ে আলু আনা নেয়া করতে হবে। অন্য কারো ট্রলি চলতে পারবে না। নি’হত জুয়েল ফকিরের চাচা হারুনের নিজস্ব আলু আনা নেয়ার জন্য ট্রলি ব্যবহার করে। সেই ট্রলি দিয়ে আলু আনা নেয়া করা যাবে না। দেলোয়ারের ট্রলি দিয়ে আলু আনা নেয়া করতে হবে- এই বি’ষয়কে কেন্দ্র করেই কয়েক দফা মা’রামারির ঘটনা ঘটে। বি’ষয়টি নিয়ে হারুন ও তার পরিবার থানায় মা’মলা করতে গেলেও স্থানীয় চেয়ারম্যান আফসার উদ্দিন আফসু বিচার মিমাংসার কথা বলে মা’মলা থেকে বিরত রাখে। বি’ষয়টি নিয়ে আফসু চেয়ারম্যান মিমাংসার জন্য কোনো সালিশ করেননি।

তথ্য ম’ন্ত্রণালয়ের অবসরপ্রাপ্ত স’রকারি চাকুরীজীবি হাফিজ উদ্দিন ফকির বলেন, আমার ছেলে জুয়েল ফকিরকে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে গু’লি, ক’কটেল ও ইট দিয়ে থেতলে হ’’ত্যা করে লা’শ গু’ম করার চেষ্টা করেছে।কি’শোর গ্যাংয়ের লিডার রাসেল বুধবার রাতে হাফিজ উদ্দিনের বড় ছেলে রুহুল আমিনকে ভুরি বের করে ফেলার হু’মকি দেয়। বৃহস্পতিবার ভোর রাত সাড়ে ৪টার সময় রুহুলের ভাই জুয়েল ফকির তাহাজ্জুতের নামাজ পড়তে মসজিদে যাওয়ার সময় অতর্কিত হা’মলা করে স’ন্ত্রাসী দেলোয়ার বাহিনী। জুয়েল ফকিরের বুকে ও হাটুতে গু’লি করে মাথায় ক’কটেল বি’ষ্ফোরণের পর ইট দিয়ে মাথা থেতলে মৃ’ত্যু নিশ্চিত করে দেলোয়ার বাহিনী।

নি’হতের পরিবার জানায়, দক্ষিণ চ’রমুশুরা ফকির কান্দি গ্রামের জুয়েল ফকিরকে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে শীর্ষ স’ন্ত্রাসী দেলোয়ার হোসেন দেলা (৫০) বাহিনী হ’’ত্যা করেছে। ভোর আনুমানিক ৪টা ৩০ মিনিটে তাহাজ্জুদ নামাজ পরার জন্য মসজিদে যাওয়ার পথে হা’মলা করে হ’’ত্যার পর গু’ম করার চেষ্টা করে।মন্টু মেম্বারের সার্বিক সহযোগিতায় দেলোয়ার বাহিনী জুয়েলকে হ’’ত্যার পর গু’ম করার চেষ্টা করেছে বলে অ’ভিযোগ করেছে বাবা হাফিজ ফকির।

এ বি’ষয়ে ৮নং ওয়ার্ডের মেম্বার মন্টু জানান, জুয়েল ফকির নিরীহ লোক। কিন্তু দেলোয়ার হোসেন দেলার কোনো দোষ নাই। হারুন গ্রুপই অ’সুস্থ ক্যান্সারের রো’গী জুয়েলকে মে’রে ক’কটেল ফাটিয়ে আ’তঙ্ক সৃষ্টি করেছে আমাকে ফাঁ’সানোর জন্য। আমি শহরে বসবাস করি। আমি রাতেই ওসি সাহেবকে জানিয়েছি বি’ষয়টি।

চরকেওয়ার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আফসার উদ্দিন আফসু জানান, দেলোয়ার হোসেন দেলা ও হারুন আমার নির্বাচন করেছে। তাদের মধ্যে বি’রোধ ছিল। থানায় মা’মলা করার জন্য চেষ্টা করেছে তবে দুই গ্রুপকেই শান্ত থাকার জন্য বলেছি। আজ বৃহস্পতিবার শালিস মিমাংসা করার কথা। আমি ঢাকায় খবর জানার সাথে সাথে রওয়ানা দিয়েছি।

এ বি’ষয়ে সদর থানার অফিসার ই’নচার্জ মোঃ আবুবকর ছিদ্দিক জানান, ঘটনার পরে নান্নু হাজীকে (৬০) জি’জ্ঞাসাবাদের জন্য আ’টক করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত মা’মলা হয়নি। নি’হতের পরিবার আসছে মা’মলার প্রস্তুতি চলছে। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে বর্তমানে ঘটনাস্থলের পরিবেশ শান্ত আছে। সূত্রঃ নয়া দিগন্ত