খাবারের দাওয়াত না পেয়ে কলেজের শিক্ষককে পে’টালেন ছাত্রলীগ নেতা!

| আপডেট :  ৩১ মার্চ ২০২২, ০৬:২৬ পূর্বাহ্ণ | প্রকাশিত :  ৩১ মার্চ ২০২২, ০৬:২৬ পূর্বাহ্ণ

খাবারের আয়োজনে দাওয়াত না দেওয়ায় শিক্ষককে মা’রধর করার অ’ভিযোগ উঠেছে এক ছাত্রলীগ নেতার বি’রুদ্ধে। বুধবার বিকালে এই ঘটনা ঘটে। মা’রধরের শি’কার শিক্ষকের নাম বিএম সোহেল। তিনি শরীয়তপুরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স’রকারি কলেজের বাংলা বিভাগের প্রভাষক। অ’ভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতার নাম সোহাগ ব্যাপারী। তিনি ওই কলেজের কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি।

শিক্ষককে মা’রধরের প্র’তিবাদে কলেজের শিক্ষক পরিষদ একটি জরুরি সভা করেছে। সভায় এ ঘটনায় মা’মলা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন অধ্যক্ষ হারুন অর রশিদ।

কলেজের শিক্ষকরা সংবাদমাধ্যমকে জানান, বুধবার কলেজের বাংলা বিভাগের স্নাতক সম্মান (অনার্স) চতুর্থবর্ষের মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হয়। পরীক্ষা নিতে সেখান জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের দুজন বিশেষজ্ঞ ও একটি স’রকারি কলেজের অধ্যক্ষ উপস্থিত ছিলেন। পরীক্ষা শেষে কলেজের বাংলা বিভাগের পক্ষ থেকে তাদের খাবারের আয়োজন করা হয়। এই আয়োজনে ছাত্রলীগের নেতাদের দাওয়াত দেওয়া হয়নি।

এরপর কেন ছাত্রলীগ নেতাদের দাওয়াত দেওয়া হয়নি তা জানতে কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সোহাগ ব্যাপারী ও সাধারণ সম্পাদক রাশেল জমাদ্দার কয়েকজন ছাত্রলীগ কর্মীকে নিয়ে বাংলা বিভাগে আসেন। তারা বাংলা বিভাগের প্রভাষক বি এম সোহেলকে এ বি’ষয়ে জবাবদিহি করতে বলেন। তিনি তখন একটি অনলাইন প্রশিক্ষণে ব্যস্ত ছিলেন। বি’ষয়টি নিয়ে বিভাগীয় প্রধানের সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন ছাত্রলীগ নেতাদের। তখন সোহাগ ব্যাপারী বি এম সোহেলকে শা’রীরিকভাবে লা’ঞ্ছিত করেন। অন্য শিক্ষকরা এসে বি এম সোহেলকে উ’দ্ধার করেন।

বি এম সোহেল সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘ঘটনার আকস্মিকতায় আমি কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়ি। বুঝতে পারছিলাম না কি করব। ছাত্রদের সামনে এমন অ’পমান-অ’পদস্থ করা হবে ভাবতেও পারিনি। বি’ষয়টি আমি অধ্যক্ষ স্যারকে ও শিক্ষক পরিষদের নেতাদের জানিয়েছি। তারা যে সিদ্ধান্ত দেবেন তাই মেনে নেব। আমরা সাধারণ শিক্ষক, ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের সঙ্গে বি’রোধে জড়িয়ে টিকতে পারব না। তাই এর বিচার হবে কি না তা নিয়েও আমার স’ন্দেহ আছে।’

অ’ভিযোগের বি’ষয়ে সোহাগ ব্যাপারী সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘শিক্ষকরা আমাদের গুরুজন। তাদের সঙ্গে এমন আচরণ কেন করব? অ’ভিযোগ সত্য নয়। আমি কোনো রাজনৈতিক ষ’ড়যন্ত্রের শি’কার হতে পারি। অনেক সময় শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন দাবি আদা’য়ের জন্য শিক্ষকদের সঙ্গে ক’ঠোর হতে হয়েছে। এ কারণে কোনো শিক্ষক আমার প্রতি বির’ক্ত থাকতে পারেন।’

কলেজের অধ্যক্ষ হারুন অর রশিদ সংবাদমাধমকে বলেন, ‘ছাত্রলীগের যে নেতার বি’রুদ্ধে শিক্ষককে লা’ঞ্ছিত করার অ’ভিযোগ উঠেছে সে আমাদের কলেজের শিক্ষার্থী না। তাই তাকে ব’হিষ্কারও করতে পারছি না। রাতে শিক্ষক পরিষদের সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে তাঁর বি’রুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’

শরীয়তপুর জে’লা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক মহসিন মাদবর সংবাদমাধমকে বলেন, কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সোহাগ ব্যাপারীর বি’রুদ্ধে এক শিক্ষকের সঙ্গে অসদাচরণ করার অ’ভিযোগের কথা শুনেছি। কোনো লিখিত অভিযোগ পেলে ত’দন্ত করে দেখা হবে। সূত্রঃ বিডি প্রতিদিন