বিয়ে করে ধ’র্ষণ মা’মলায় জামিন পেলেন এসআই জলিল

| আপডেট :  ২৩ মার্চ ২০২২, ১০:৫৬ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ২৩ মার্চ ২০২২, ১০:৫৬ অপরাহ্ণ

বিয়ে করার শর্তে জা’মিন পেয়েছেন বিয়ের কথা বলে ধ”ণের অ’ভিযোগে গ্রে’ফতার কুড়িগ্রাম সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল জলিল। বুধবার (২৩ মার্চ) দুপুরে পঞ্চগড় নারী ও শি’শু নি’র্যাতন দ’মন ট্রাইব্যুনালে বিয়ে করার শর্তে জা’মিন আবেদন করেন তিনি। বিকালে পঞ্চগড় নারী ও শি’শু নি’র্যাতন

দ’মন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মেহেদী হাসান তালুকদার তার জা’মিন আবেদনে কাবিননামা দাখিলের আদেশ দেন। পরে কাবিননামা দিলে জা’মিন মঞ্জুর করেন বিচারক।জা’মিনের পর জে’লা আইনজীবী সমিতির ভবনে ওই নারীকে বিয়ে করেন এসআই আব্দুল জলিল। বিয়েতে সাত লাখ ৯৫ হাজার টাকা দেনমোহর নির্ধারণ করা হয়। এ সময় দুই পক্ষের আইনজীবী, পরিবারের সদস্য ও জলিলের প্রথম স্ত্রী উপস্থিত ছিলেন। এরপর সবাইকে মিষ্টিমুখ করানো হয়।

আ’দালত সূত্রে জানা গেছে, গত ২৩ জানুয়ারি এই মা’মলায় এসআই জলিলের বি’রুদ্ধে গ্রে’ফতারি পরোয়ানা জারি করেন আ’দালত। পরে তিনি উচ্চ আ’দালতের আদেশে ছয় সপ্তাহের জা’মিনে ছিলেন। জা’মিনের মেয়াদ শেষ হলে পঞ্চগড় নারী ও শি’শু নি’র্যাতন দ’মন ট্রাইব্যুনালে গত রবিবার (২০ মার্চ) দুপুরে আত্মসমর্পণ করে স্থায়ী জা’মিনের আবেদন করেন। আ’দালত জা’মিন নামঞ্জুর করে তাকে কা’রাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

ভু’ক্তভোগী নারী (৪৩) বলেন, ‘এতদিন জলিলের কাছে স্ত্রীর স্বীকৃতি তো দূরের কথা বিয়ের কাবিননামা চেয়েও পাইনি। আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আ’দালতে মা’মলা করার পর আমি ন্যায় বিচার পেয়েছি। এজন্য আমি খুশি।’বা’দীপক্ষের আইনজীবী মেহেদী হাসান মিলন বলেন, ‘আ’দালতের রায়ে আমরা সন্তুষ্ট। এই রায়ে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ভু’ক্তভোগী সঠিক বিচার পেয়েছেন।’

প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ৩০ এপ্রিল জমি সংক্রান্ত বি’রোধে পঞ্চগড় সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জি’ডি) করেন বিধবা ওই নারী। জি’ডি ত’দন্ত করতে গিয়ে পঞ্চগড় সদর থানার তৎকালীন এসআই আব্দুল জলিল ওই নারীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়েন। এরপর ভুয়া কাবিননামা করিয়ে ওই নারীর সঙ্গে শা’রীরিক সম্পর্ক করেন।

একসময় ওই নারী কাবিননামা চাইলে বিয়ের কথা অস্বীকার করেন জলিল। পরে ওই নারী ২০২০ সালের ৬ অক্টোবর পঞ্চগড় নারী শি’শু নি’র্যাতন দ’মন ট্রাইব্যুনালে মা’মলা করেন। আ’দালত মা’মলাটি ত’দন্তের জন্য অতিরিক্ত জে’লা ম্যা’জিস্ট্রেটকে দায়িত্ব দেন। গত ২০ জানুয়ারি অতিরিক্ত জে’লা ম্যা’জিস্ট্রেট আ’দালতে ত’দন্ত প্রতিবেদন দেন। ২৩ জানুয়ারি আ’দালত মা’মলাটি আমলে নিয়ে এসআই জলিলের বি’রুদ্ধে গ্রে’ফতারি পরোয়ানা জারি করেন।