ফুলবাড়িয়ায় সনদ জালিয়াতির অভিযোগে শিক্ষক বরখাস্ত

| আপডেট :  ২২ মার্চ ২০২২, ০৮:১৯ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ২২ মার্চ ২০২২, ০৮:১৯ অপরাহ্ণ

বিশেষ প্রতিনিধি: ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলা সদরের আলহেরা একাডেমি উচ্চ বিদ্যালয়ে গণিতের সহকারি শিক্ষক আজহারুল ইসলাম মিন্টুকে সাময়িক ভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। “আলহেরা একাডেমিতে ভূয়া নিবন্ধনে শিক্ষক এমপিও: সভাপতির পদত্যাগ” শিরোনামে গত ২০১৯ সালের ৩১ মার্চ বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়।

পরে দুদকে’র চিঠির প্রেক্ষিতে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের তদন্তে আজাহারুল ইসলাম মিন্টু’র নিবন্ধন সনদ জাল বলে প্রতিয়মান হলে উক্ত শিক্ষককে বরখাস্তপূর্বক স্থানীয় থানায় মামলার সহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য একাধিকবার নিদের্শ দিলেও অজ্ঞাত কারণে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও পরিচালনা কমিটি গড়িমশি করেন। অবশেষে মহাপরিচালক, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর, ঢাকা এর স্মারক নং- ৩০৭/০৪ জি-৯৯১-ম/২০১০/১৩৪২ তারিখ ০৯/১১/২০২১ইং মূলে প্রধান শিক্ষককে কারণ দর্শানো চিঠি প্রেরণ করা হলে গত ১৩ নভেম্বর-২০২১ইং বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভায় জাল ও ভুয়া সনদে চাকুরী গ্রহণ করার অপরাধে আজাহারুল ইসলাম মিন্টু (ইনডেক্স নম্বর-১০৬৭৩৭৫)কে সাময়িক বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

বরখাস্তের বিষয়টি আলহেরা একাডেমি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আ. মজিদ নিশ্চিত করেছেন।

উল্লেখ্য যে, ৬ষ্ঠ নিবন্ধনের গণিত বিষয়ে ভুয়া নিবন্ধন সনদ (নিবন্ধন নং-৩২১১৬৬৪৬) দিয়ে ২০১১ সালের মে মাসে গণিতের সহকারী শিক্ষক পদে চাকুরি নিয়েছিল আজহারুল ইসলাম মিন্টু। চাকুরির ১০ বছরে ৮ হাজার ও ১৬ হাজার টাকা ‘টাইম স্কেলে’ সরকারের কোষাগার থেকে তিনি বেতন ভাতা বাবদ প্রায় সাড়ে ১০ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছেন।

জনশ্রুতিতে প্রচার রয়েছে, দালাল সিরাজ মাস্টারের মাধ্যমে ঢাকা ডিজি অফিসে কর্মরত ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার জনৈক এক সহকারী পরিচালকের মাধ্যমে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ভূয়া সনদে উক্ত শিক্ষক নিয়োগের ঘটনাটি নয়-ছয় করে ধামাচাপা দিতে এখনো মরিয়া হয়ে চেষ্টা চালাচ্ছেন।

উল্লেখিত ঘটনা সহ প্রধান শিক্ষকের নানান অনিয়ম ও দুর্নীতি কেন্দ্র করে বিদ্যালয়ের তৎকালীণ সভাপতি অধ্যাপক জসিম উদ্দিন পদত্যাগ করেছিলেন বলে প্রচার থাকলেও প্রধান শিক্ষক ও সভাপতি কেউ মুখ খুলেননি।

এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. বেলায়েত হোসেন বলেন, আলহেরা একাডেমি উচ্চ বিদ্যালয়ে একজন শিক্ষকের সনদ জালিয়াতির বিষয়টি আমি শুনেছি; যেহেতেু তার সনদই জাল, সেহেতু ঐ শিক্ষককে চুড়ান্তভাবেই বরখাস্ত করার কথা।