সন্তানের দায় নিতে নারাজ এআইজি ফারুকী, আদালতের বারান্দায় ঘুরছেন শিশুর মা

| আপডেট :  ২২ মার্চ ২০২২, ০৮:০৪ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ২২ মার্চ ২০২২, ০৭:৫৩ অপরাহ্ণ

বিয়ে বহির্ভূত সম্পর্কের জেরে জন্ম নেয়া শি’শুর পিতৃত্ব অস্বীকার করছেন পুলিশের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা। আর চার মাসের শি’শুটিকে নিয়ে আ’দালতের বারান্দায় ঘুরছেন ভু’ক্তভোগী নারী। ওই নারীর অ’ভিযোগ, পুলিশ সদর দপ্তরের সহকারী মহাপরিদর্শক মহিউদ্দিন ফারুকীর সাথে সম্পর্কের পর তিনি অ’ন্তঃসত্ত্বা হলে তাকে বিয়ে করেন ফারুকী। কিন্তু বিয়ের দেড় মাসের মাথায় তা’লা’ক দিয়ে শি’শুটির পিতৃত্ব অস্বীকার করছেন তিনি।

ফুলের মতো শি’শুটি বাবা মায়ের যে ভালবাসার আলোয় আলোকিত হয়ে পৃথিবীতে এসেছে, সেই আলো এখন যেনো পরিণত হয়েছে কালো অন্ধকারে। কারণ জন্ম’দাতা বাবা শি’শুটির পিতৃত্ব অস্বীকার করছেন।

বিয়ের আগে পুলিশ কর্মকর্তার স’রকারি অফিসের বিশ্রাম কক্ষে একান্তে সময় কা’টানোর ছবি একাত্তর টেলিভিশনের হাতে এসেছে। ছবিতে থাকা এক নারীর দাবি তিন বছর ধরে পুলিশ সদর দপ্তরের সহকারী মহাপরিদর্শক মহিউদ্দিন ফারুকীর সাথে তার সম্পর্ক ছিলো।

মহিউদ্দিন ফারুকী ওরফে কাজলের সাথে সেই নারীর হোয়াটসঅ্যাপ বার্তা থেকে বোঝা যায় তার বডিগার্ড ও গাড়িচালক প্রায়ই তাকে বাসা থেকে পুলিশ সদর দপ্তরে নিয়ে যেতেন। যেহেতু স’রকারি গাড়িতে ফারুকী নিজেই থাকতেন তাই দর্শনার্থী বইয়ে নাম লিপিবদ্ধ করা হতো না।

এক পর্যায়ে ওই নারী অ’ন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে ফারুকী তাকে বিয়ে করেন। কিন্তু বিয়ের দেড় মাসের মাথায় তাকে আবার তা’লা’কও দেন ফারুকী। ওই নারী ও ফারুকীর কথোপকথন থেকে জানা যায় ধ”ণ মা’মলা থেকে বাঁচতে ফারুকী এই বিয়েটি করেছিলেন।

শুধু তা’লা’ক দিয়েই শেষ করেননি। শি’শুটির বাবা হিসেবে যাতে মহিউদ্দিন ফারুকীর নাম ব্যবহার করা না হয়, সে জন্য আ’দালত থেকে এক তরফা একটি রায়ও নিয়ে এসেছেন পুলিশের এই কর্মকর্তা।

পুলিশ সদর দপ্তর বলছে, তারা বি’ষয়টি নিয়ে ত’দন্ত চলছে। কেউ দো’ষী হলে তার দায় নেয়া হবে না। আর বি’ষয়টি বিচারাধীন দোহাই দিয়ে কোন কথা বলতে রাজি হননি মহিউদ্দিন ফারুকী।

মহিউদ্দিন ফারুকী এবং ওই নারী দুজনেরই স্বামী ও স্ত্রী থাকার পরও তারা বিয়ে বহির্ভূত সম্পর্কে জ’ড়িত ছিলেন। আর তাদের এমন কর্মকাণ্ডের বলি হচ্ছে নিষ্পাপ শি’শুটি।

ভু’ক্তভোগী নারীর দাবী, এই স’ন্তানের আগেও ফারুকীর সাথে সম্পর্কের জেরে তিনি অ’ন্তঃসত্ত্বা হন। কৌশলে ও’ষুধ খাইয়ে পরে সেই ভ্রূণ হ’’ত্যা করেছিলো পুলিশ সদর দপ্তরের সাপ্লাই ও লজিস্টিক বিভাগের সহকারী মহাপরিদর্শক হিসাবে দায়িত্বে থাকা মহিউদ্দিন ফারুকী। সূত্রঃ একাত্তর টিভি