সিঁধ কেটে ঘরে ঢুকে গৃহবধূকে দেখেই মাথা নষ্ট ৫ চোরের

| আপডেট :  ১৪ মার্চ ২০২২, ০৬:৫১ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ১৪ মার্চ ২০২২, ০৬:৫১ অপরাহ্ণ

চু’রির উদ্দেশ্যে সিঁধ কে’টে ঘরে ঢোকেন চোরচ’ক্রের পাঁচ সদস্য। চু’রি করার কথা থাকলেও ঘরে ঢুকে দেখেন ২৫ বছর বয়সী নারী। নেই কোনো পুরুষ। আর গৃ’হবধূকে একা পেয়ে নিজেদের ঠিক রাখতে পারলেন না পাঁচ চোর। পালাক্রমে ধ”ণ করা হয় গৃ’হবধূকে।
রোববার ভোরে লক্ষ্মীপুর সদর উপজে’লার তেওয়ারীগঞ্জ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় প্রধান অ’ভিযুক্ত সুমন মাঝিকে আ’টক করেছে পুলিশ।

এদিন দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে জে’লা জজ আ’দালত প্রাঙ্গণ থেকে তাকে আ’টক করা হয়। অ’ভিযুক্ত সুমন তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়ন চ’রমটুয়া গ্রামের মন্তাজ মাঝির ছেলে। তিনি জে’লা আইনজীবী সহকারী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজানের ভাই।

ভু’ক্তভোগী গৃ’হবধূ জানান, প্রতিব’ন্ধী ভাই ও ছেলেকে নিয়ে রাতে ঘরে একা ছিলেন তিনি। রোববার গভীর রাতে সিঁধ কে’টে পাঁচজন তার ঘরে ঢোকেন। একপর্যায়ে তাকে একা পেয়ে পাঁচজন মিলে পালাক্রমে ধ”ণ করেন। পরে র’ক্তাক্ত অবস্থায় তাকে রেখে পা’লিয়ে যান ওই পাঁচজন। পরে তাকে উ’দ্ধার করে পুলিশ।

দুপুরে অতিরিক্ত জে’লা পুলিশ সুপার (অ’পরাধ ও প্রশাসন) পলা’শ কান্তি নাথ ও অতিরিক্ত জে’লা পুলিশ সুপার (সদর) মংনেথোয়াই মারমা হাসপাতালে গিয়ে ভু’ক্তভোগীর সঙ্গে কথা বলেন।অ’ভিযুক্ত সুমনের ভাই মিজানুর রহমান মিজান বলেন, গৃ’হবধূদের সঙ্গে আমাদের জমি নিয়ে বি’রোধ রয়েছে। এজন্য পরিকল্পিতভাবে আমার ভাইকে ফাঁ’সানো হচ্ছে। আমার ভাই ঘটনাটির সঙ্গে জ’ড়িত নয়।

লক্ষ্মীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অ’পরাধ) পলা’শ কান্তি নাথ বলেন, স্থানীয়রা খবর দিলে ভোরেই ঘটনাস্থল থেকে ওই গৃ’হবধূকে উ’দ্ধার করে সদর থানা টহল পুলিশ। এ ঘটনায় প্রধান অ’ভিযুক্তকে আ’টক করা হয়েছে। অ’ভিযুক্ত নাজিম, মো. হোসেন, ইউছুফ ও হারুনকে গ্রে’ফতারে অ’ভিযান অব্যাহত রয়েছে।