আল্লাহ ও দর্শকদের কাছে ক্ষমা চাইলেন মুশফিক

| আপডেট :  ১৫ ডিসেম্বর ২০২০, ০৫:৪৮ পূর্বাহ্ণ | প্রকাশিত :  ১৫ ডিসেম্বর ২০২০, ০৫:৪৮ পূর্বাহ্ণ

মুশফিককে সকলে সাধারণত ঠান্ডা মেজাজের খেলোয়াড় হিসেবে জানে। তবে সেই মুশফিকই গতকাল মেজাজ হারিয়েছেন খেলার মাঠে। মাঠেই দুইবার মারমুখী হয়েছেন সতীর্থ নাসুমুলের প্রতি। আর এমন অনাকাঙ্ক্ষিত আচরণে তীব্র সমালোচনা চলছে সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে।

মূলত হারলেই বাদ, এমন সমীকরণ সামনে নিয়েই গতকাল সোমবার (১৪ ডিসেম্বর) এলিমেনেটর রাউন্ডে ফরচুন বরিশালের মুখোমুখি হয়েছিল বেক্সিমকো ঢাকা। আর সেই সেই চাপ যেন বুমেরাং হয়ে উঠলো ঢাকার অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমের জন্য। পুরো ম্যাচেই সতীর্থদের সঙ্গে উত্তেজিত আচরণ করতে দেখা গেছে তাকে। এমনকি মেজাজ হারিয়ে স্পিনার নাসুম আহমেদকে মারতে দুইবার হাতও উঠে গিয়েছিল তার।

এই ঘটনার পর বেশ সমালোচনার মুখোমুখি হতে হয়েছে জাতীয় দলের এই উইকেটকিপারকে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এ নিয়ে ক্ষমাও চেয়েছেন তিনি। আজ মঙ্গলবার সকালে এক স্ট্যাটাসে মুশফিক বলেন, আসসালামুওয়ালাইকুম। প্রথমেই আমি গতকালের খেলার সময় ঘটে যাওয়া ঘটনার জন্যে আমার ভক্ত ও দর্শকদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি। খেলার পরেই আমি আমার সতীর্থ নাসুমের কাছে সেই ঘটনার জন্য ক্ষমা চেয়েছি। দ্বিতীয়ত আমি পরম করুণাময় আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি। আমি সবসময় মনে রাখি সবকিছুর ঊর্ধে আমি একজন মানুষ এবং মাঠে যেই আচরণ করেছি তা গ্রহণযোগ্য নয়। ইন শা আল্লাহ ভবিষ্যতে মাঠে এবং মাঠের বাইরে এরকম ঘটনা ঘটবে না… জাযাকাল্লাহ খায়ের

গতকাল ম্যাচে দুইবার সতীর্থ নাসুম আহমেদের ওপর মেজাজ হারিয়েছেন তিনি। নাসুমকে দুইবার বল ছুড়তে গেছেন ‘অ্যাংরি ম্যান মুশফিক’। সতীর্থকে রীতিমতো মারতেই তেড়ে গেছেন তিনি। অভিজ্ঞ এই ক্রিকেটারের এমন আচরণ অবাক করেছে সবাইকে।

প্রথমবার ইনিংসের ১৩তম ওভারে নাসুমের করা তৃতীয় বলটা মিড অনে ঠেলে দেন আফিফ। ফিল্ডিং করতে দৌড়ে আসেন বোলার নাসুম, অন্যদিকে মুশফিকও এগিয়ে আসেন। বল কুড়িয়ে নিয়েই বাঁহাতি এই স্পিনারকে বল ছুড়তে তেড়ে যান মুশফিক।

দ্বিতীয়বার শফিকুলের করা ইনিংসের ১৭তম ওভারে আফিফ ক্যাচ দেন শর্ট ফাইন লেগে। ফিল্ডার নাসুম এগিয়ে আসেন ক্যাচ ধরতে। তার আগেই দৌড়ে এসে মুশফিক ক্যাচ নেন। তারপর ঘুরেই নাসুমকে আবারও সজোরে বল ছুড়তে যান ঢাকার অধিনায়ক। তত্ক্ষণাত্ মুশফিকের আচরণে ভড়কে যান নাসুম, বিব্রত হয়ে পড়েন।

পরবর্তীতে সোশ্যাল মিডিয়ায়ও শুরু হয় এ নিয়ে জোর সমালোচনা। কেউ কেউ লিখেছেন মুশফিক জীবনে যে পরিমাণ স্টাম্পিং এবং ক্যাচ মিস করেছেন তার সিনিয়ররা তার সাথে এমন আচরণ করেলে তার ক্রিকেট ই খেলা হতো না