দেশের বাজারে ১৫ কেজি ওজনের জাপানি মুলা

| আপডেট :  ২৫ জানুয়ারি ২০২২, ০৩:৩৫ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ২৫ জানুয়ারি ২০২২, ০৩:৩৫ অপরাহ্ণ

চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় চাষ হওয়া ১৫ কেজি ওজনের জাপানি মুলার দেশজুড়ে ব্যাপক খ্যাতি পেয়েছে। উপজেলার চাষিরা গত রোববার (২৩ জানুয়ারি) মাইজভাণ্ডার দরবার শরীফের অধ্যাত্নিক সাধক গাউছুল আজম মাইজভাণ্ডারী হযরত কেবলার বার্ষিক ওরশে মাঘের মেলায় বিক্রির উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে মুলাকে বিক্রি উপযোগী করেন।

ওরশে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা মানুষের কাছে ওই মুলা বেশ জনপ্রিয়। চাষিরা কিংবা ব্যবসায়ীরা ২৩ এবং ২৪ জানুয়ারি সকাল পর্যন্ত মাইজভাণ্ডার দরবার শরীফে জমজমাট ভাবে মুলা বিক্রি করেন।

মূলত মুলার ৯০ ভাগ উৎপাদনই আসে চরাঞ্চল হতে। ফটিকছড়ি উপজেলার বুকচিরে প্রবাহিত বহমান প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হলদা নদী, ধুরুং খাল ও সত্ত্বা খালের চরে ব্যাপক জায়গা জুড়ে চাষিরা ওই মুলার চাষ করেন। আকারে ওই মুলা লম্বায় প্রায় ৩ ফুট এবং ওজনে ১৫ কেজি পর্যন্ত হয়ে থাকে। খেতেও অনেক সুস্বাধু।

উপজেলার সুন্দর ইউনিয়নের কৃষক আহমদ হোসেন আরটিভি নিউজকে বলেন, প্রতিবছরই আমি হালদার চরে জাপানি মুলার চাষ করি। দীর্ঘদেহের মুলা উৎপাদন করে নিজেরও ভাল লাগে। প্রতিবছর মাঘের মেলার কথা মাথায় রেখে মুলা উৎপাদন করি। স্থানীয়দের চেয়ে অন্যজেলার মানুষের কাছে ওই মুলার চাহিদা বেশি বলে আমরা ব্যবসার জন্য মাঘের মেলাকেই টার্গেট করি।

ফটিকছড়ি উপজেলা কৃষি অফিসর লিটন দেবনাথ বলেছেন, আমি দেশের অন্য কোথাও এত ওজনের জাপানি মুলা দেখিনি। এখানে এই মুলা ওজনে সবের্বাচ্চ ১৫ কেজি পর্যন্ত হয়। মূলত পলিমাটিতে এর উৎপাদন ভাল হয় বলে চাষারা চরাঞ্চলে জাপানি মুলার চাষ করে থাকেন। লাভবান হচ্ছে চাষিরা।