শিক্ষকের কু-নজর ছাত্রীর মায়ের দিকে

| আপডেট :  ২৫ জানুয়ারি ২০২২, ০১:৫৭ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ২৫ জানুয়ারি ২০২২, ০১:৫৭ অপরাহ্ণ

স্কুল ছাত্রীর মা’কে বিভিন্ন কৌশলে স্কুলে ডেকে নিয়ে গিয়ে ধ”ণ চেষ্টার অ’ভিযোগ পাওয়া গেছে। অ’ভিযুক্ত শিক্ষক হলেন ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজে’লার নেকমরদ ইউনিয়নের নারায়ণপুর স’রকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় সহকারী। ধ”ণ চেষ্টার বি’ষয়ে অ’ভিযোগ করেন ঐ বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রী কবিতা রাণীর মা লিলা রাণী।

অ’ভিযোগকারী লিলা রাণী প্রতিবেদককে জানান, নারায়ণপুর স’রকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় সহকারী শিক্ষক খোকন চন্দ্র শর্মা স্বাক্ষর লাগবে বলে স্কুল ছুটির সময় আমার মেয়েকে দিয়ে আমাকে ডেকে পাঠাতো, আমি গেলে আমার শরীরের কাপড় টানতো এবং শরীরের বিভিন্ন জায়গায় হাত দিত। আমি কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় আমাকে টাকারও লোভ দেখায়।

গত ২১ সালের ৮ নভেম্বর সোমবার রাত সাড়ে ১০ টার সময় আমার বাড়িতে রাতের বেলায় এসে আমাকে ধ”ণের চেষ্টা করে, আমি চি’ৎকার করলে আমার মুখ চে’পে ধরে আমাকে মে’রে ফেলা, মি’থ্যা বদনাম দিয়ে এলাকা ছাড়া করা ও আমার সংসার ন’ষ্ট করারও হু’মকি দেয়।

তিনি আরো বলেন, একদিন রাতে আমি প্রাকৃতিক কাজ (পায়খানা) থেকে আসার সময় আমাকে একা পেয়ে আমার বাড়ির কাছে পরিত্যক্ত একটা ঘরে নিয়ে গিয়ে আমার মুখ চে’পে ধরে আমার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় হাত দেয় এবং আমাকে মৃ’ত্যুর হু’মকি দিয়ে বলে যে কাউকে কিছু বললে আমাকে ও আমার পরিবারের সদস্যদেরকে হ’’ত্যা করবে বা মি’থ্যা মা’মলায় ফাঁ’সিয়ে দিবে। পরবর্তীতে আমি স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে ও ইউনিয়ন পূজা উদযাপন পরিষদে সভাপতি অলিন চন্দ্রকে বিচার দেয়, কিন্তু তারা সমাধান করতে ব্যর্থ হন। আমি গরীব বলে কি বিচার পাবো না। আমি প্রশাসনের কাছে সুষ্ঠু বিচার চাই।

অ’ভিযোগকারী লিলা রাণীর স্বামী শ্রী নগেন বলেন, আমি গরিব মানুষ, তাই সংসার চা’লানোর জন্য ঢাকায় ও কুমিল্লায় কাজ করতে যায়, আর সেই সময় খোকন মাষ্টার আমার স্ত্রীর সাথে এমন ঘটনা ঘটায়। এলাকায় তার প্রভাব থাকায় বিচার দিয়েও আমি বিচার পাইনি। তাই পুলিশের কাছে অ’ভিযোগ দিয়েছি। আমি প্রশাসনের কাছে অ’ভিযোগের সুষ্ঠু বিচার চাই।

অ’ভিযুক্ত শিক্ষক খোকন মাস্টারের সাথে একাধিকবার ফোনে যোগাযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।সরেজমিনে স্কুলে গিয়ে জানা যায় তিনি অ’সুস্থতা দেখিয়ে ছুটি নিয়েছেন।এ বি’ষয়ে নেকমরদ পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি অলিন চন্দ্র বলেন, আমি অ’ভিযোগ পাওয়ার পর শিক্ষক খোকন চন্দ্র কে ডেকে পাঠায়, তিনি এসে বলেন এসব কাজ করা আমার ভূল হয়েছে। আমি বাসায় গিয়ে মীমাংসা করে নিব।

রাণীশংকৈল উপজে’লা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রাহিমউদ্দীনে কাছে ঘটনার বি’ষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, আমি এ বি’ষয়ে জানতাম না। আপনার মাধ্যমে জানতে পারলাম। অ’ভিযোগ পেলে এবি’ষয়ে ত’দন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

রাণীশংকৈল থানা পরিদর্শক (ওসি) এসএম জাহিদ ইকবাল মুঠোফোনে জানান শিক্ষক খোকন চন্দ্র শর্মার বি’রুদ্ধে ধ”ণ চেষ্টার অ’ভিযোগ পেয়েছি। বি’ষয়টি ত’দন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।