পরিবারের সবার ভোট না পেয়ে সম্পর্ক ছিন্নের ঘোষণা প্রার্থীর

| আপডেট :  ৬ জানুয়ারি ২০২২, ০৯:৫৪ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ৬ জানুয়ারি ২০২২, ০৯:৫৪ অপরাহ্ণ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলায় একজন ইউপি সদস্য প্রার্থী নিজের পরিবারে ছয়জন ভোটার থাকা সত্ত্বেও সবমিলিয়ে পেলেন মাত্র তিনটি। নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের পরের দিন ওই প্রার্থী ক্ষুব্ধ হয়ে নিজের পরিবারের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্নের ঘোষণা দিয়েছেন।

এ ব্যাপারে মো. মানিকুর রহমান মানিক জানান, বৃহস্পতিবার (৬ জানুয়ারি) সকালে তিনি একান্নবর্তী পরিবার থেকে আলাদা হয়ে যাবার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

গত (৫ জানুয়ারি) বুধবার ওই উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মো. মানিকুর রহমান মানিক নামের ওই প্রার্থী ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদরের ১০নং রামরাইল ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চার নম্বর ওয়ার্ডে মেম্বার পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।

মানিকের বাড়ি ওই ইউনিয়নের বিজেশ্বর গ্রামে। আপেল প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন তিনি। মানিক দাবি করেন, বাবা ও দুই ভাই তাকে ভোট দেননি। তবে তার মা এবং স্ত্রী ভোট দিয়েছেন। এমনকি ভোট কেন্দ্রে দায়িত্বরত্ব তার পোলিং এজেন্টরাও তাকে ভোট দেননি।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, রামরাইল ইউনিয়নের চার নম্বর ওয়ার্ড থেকে মোট সাতজন মেম্বার পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এর মধ্যে ঘুড়ি প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন টানা তিনবারের নির্বাচিত মেম্বার আতিকুর রহমান। তার ভাতিজা মো. মানিকুর রহমান মানিকও আপেল প্রতীক নিয়ে প্রার্থী হন।

একই ওয়ার্ড থেকে সিলিং ফ্যান প্রতীক নিয়ে লুক্কু মিয়া, টিউবওয়েল প্রতীক নিয়ে মোবারক হোসেন, তালা প্রতীক নিয়ে সায়েদুর রহমান, মোরগ প্রতীক নিয়ে রাজ্জাক মিয়া ও ফুটবল প্রতীক নিয়ে মোখলেছুর রহমান প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তবে শেষ পর্যন্ত সিলিং ফ্যান প্রতীকের লুক্কু মিয়া লড়াইয়ে বিজয়ী হন।

জানা গেছে, চার নম্বর ওয়ার্ডে মোট দুটি ভোটকেন্দ্র। সেখানে মোট ভোটার সংখ্যা ২ হাজার ৮৬ জন। বুধবারের নির্বাচনে দুটি ভোট কেন্দ্রে মোট ১ হাজার ৪২৮ জন ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। এর মধ্যে লুক্কু মিয়া ৪৫১ ভোট পেয়ে মেম্বার পদে বিজয়ী হন। তিন ভোট পাওয়া মানিকের চাচা বর্তমান মেম্বার আতিকুর রহমান পেয়েছেন ২০৮ ভোট।