লঞ্চের অগ্নিকাণ্ডে বাবা-মাকে খুঁজে না পাওয়া হাফছা পেল জিপিএ-৫

| আপডেট :  ৩১ ডিসেম্বর ২০২১, ০৮:১৪ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ৩১ ডিসেম্বর ২০২১, ০৮:১৪ অপরাহ্ণ

ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে লঞ্চ অ’গ্নিকাণ্ডেে বাবা-মা ও ছোট ভাইকে হা’রিয়েছে হাফছা। সেই হাফসা এবার দাখিল পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছে। রেজাল্ট শুনেই বাবা-মা ভাইয়ের কথা মনে করে কা’ন্না থামছে না হাফছার। খুঁজছে বাবা-মা ভাইকে।

লঞ্চ দু’র্ঘটনায় নি’হত আব্দুল হাকিম শরীফ ও পাখি বেগম দম্পতি বড় মেয়ে হাফসা। সে বরগুনার সদর উপজে’লার কালীরতবক দাখিল মাদরাসা থেকে দাখিল পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল।

দক্ষিণ বড় লবনগোলা গ্রামের নিখোঁজ আব্দুল হাকিম শরীফের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, ওই দম্পতির তিন স’ন্তান সুমাইয়া (১৪), ফজলুল হক (১০) ও হাফছা বেগমকে (১৮)। তিনজনই মাদরাসা পড়ুয়া শিক্ষার্থী। বাবা-মা ও ভাইয়ের ছবি হাতে নিয়ে বারবার মূর্ছা যাচ্ছিল তিন ভাই বোন।

কা’ন্নাজ’ড়িত কণ্ঠে হাফসা বেগম বলে, ‘আমি পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করেছি। আমার বাবা মা আমার রেজাল্ট দেখে যেতে পারেনি। আমাকে নিয়ে তাদের অনেক স্বপ্ন ছিল। এই রেজাল্ট দিয়ে কি হবে?’

হাফসার স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, স’ন্তানদের বাবা-মায়ের কাছে রেখে কাজের সন্ধানে ঢাকা থাকতেন শরীফ-পাখি দম্পতি। তাদের ইচ্ছে ছিল হাফছা পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করলে ভালো ছেলে দেখে বিয়ে দেবেন। বরগুনার বেতাগী উপজে’লার সরিষামুড়ি ইউনিয়নে হাফসার বিয়ের জন্য পাত্র দেখে রেখেছিলেন তারা। উভ’য়পক্ষের মতামতে আজ শুক্রবার ছিল সেই বিয়ের দিনক্ষণ।

সেই বিয়ের কেটাকা’টা করতেই স্বামীর কাছে ঢাকা এসেছিলেন পাখি বেগম। ফেরার পথেই ঘটে দু’র্ঘটনা। আর খুঁজে পাওয়া যায়নি তাদের।

পাখি বেগমের মা ফরিদা বেগম কা’ন্নাজ’ড়িত কণ্ঠে বলেন, নাতি ভালো রেজাল্ট করলো। শুধু আমার মেয়ে আর জামাই দেখে যেতে পারল না। এই ক’ষ্ট আমি কোথায় রাখি। যদি তাদের লা’শ পেতাম তাও মনে শান্তনা দিতে পারতাম।