ফাঁ’সির আ’সামির পর জে’এমবিকর্মীর হাতে নৌকা

| আপডেট :  ৬ ডিসেম্বর ২০২১, ১২:৫৯ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ৬ ডিসেম্বর ২০২১, ১২:১৯ অপরাহ্ণ

সাভারে ছয় শিক্ষার্থীকে পি’টিয়ে হ’’ত্যার ঘটনায় মৃ’ত্যুদ’ণ্ড পাওয়া এক ইউপি চেয়ারম্যানকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দেয়ার পরপরই আবার তা বাতিল করে সংশোধন করা হয়েছে। শনিবার (০৪ ডিসেম্বর) রাতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে অসাবধানতাবশত ভু’ল হওয়ার বি’ষয়টি জানানো হয়।

রাজশাহীর বাগমা’রা উপজে’লার গোয়ালকান্দি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে জেএমবিকর্মী আলমগীর হোসেন এবারও পেয়েছেন নৌকা প্রতীক। অন্যদিকে ভোলার রাজাপুর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে চাল আ’ত্মসাতের দায়ে সাময়িক বরখাস্ত চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান খানও এবার পেয়েছেন নৌকা প্রতীক।

গোয়ালকান্দি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান নির্বাচন আগামী ৫ জানুয়ারি। এই ইউনিয়নে জেএমবিকর্মী আলমগীর হোসেনকে এবারও দেওয়া হয়েছে নৌকা প্রতীক। জেএমবি নেতা সিদ্দিকুর ইসলাম ওরফে বাংলা ভাইয়ের সঙ্গে আলমগীরের একাধিক ছবি ও ভিডিও ফুটেজ রয়েছে।

দলীয় সূত্র জানায়, আবারও নৌকা প্রতীক পাওয়া বর্তমান চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেনের দলে কোনো পদ নেই। গতবার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নানা কাণ্ডে বি’তর্কি’ত হওয়ায় প্রথমে তাঁকে দলীয় মনোনয়ন না দিয়ে বাংলা ভাইয়ের আরেক সহযোগী আব্দুস সালামকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার দুই দিন আগে আলমগীরের হাতেই নৌকা প্রতীক তুলে দেওয়া হয়। আলমগীরের বি’রুদ্ধে হ’’ত্যাচেষ্টা, লু’টপাট, ভা’ঙচুরসহ পাঁচটি মা’মলা বিচারাধীন।

জানতে চাইলে গোয়ালকান্দি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহেদুল ইসলাম বলেন, ‘এই চেয়ারম্যান এলাকায় অশান্তি ছাড়া আর কিছু দিতে পারেননি। তিনি বাংলা ভাইয়ের কর্মী ছিলেন। এলাকায় তাঁর বি’রুদ্ধে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করার অ’ভিযোগ রয়েছে, কিন্তু তিনিই আবার নৌকা পেয়েছেন। তাঁকে ছাড়া দল অন্য যাঁকে মনোনয়ন দেবে, সেটা আমরা মেনে নেব।’

নৌকা প্রতীক পাওয়া আলমগীর হোসেন বলেন, ‘আমার বি’রুদ্ধে ষ’ড়যন্ত্র করে বেশ কয়েকটি মা’মলা দেওয়া হয়েছিল। আমি বাংলা ভাইয়ের সঙ্গে ছিলাম না। দলের জন্য কাজ করি বলে দল আমাকে এবারও নৌকা দিয়েছে।’ রাজশাহী জে’লা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও বাগমা’রা উপজে’লা চেয়ারম্যান অনিল কুমার স’রকার বলেন, ‘আমি এসব বি’ষয়ে কোনো মন্তব্য করব না। দল যাঁকে মনোনয়ন দিয়েছে, তিনিই আমাদের প্রার্থী।’

এদিকে ভোলা সদর উপজে’লার রাজাপুর ইউপি নির্বাচনে চাল আ’ত্মসাৎসহ দু’র্নীতিতে অ’ভিযুক্ত সাময়িক বরখাস্ত চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান খান এবারও পেলেন নৌকা প্রতীক। তবে এবার দলীয় মনোনয়ন দেওয়ার আগে তৃণমূল পর্যায়ে ডেলিকেটদের ভোটে হেরেছিলেন তিনি। এ নিয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

বরখাস্ত হওয়ার পর মিজানুর রহমান উচ্চ আ’দালতে রিট আবেদন করলে বিচারক চলতি বছরের ১৩ সেপ্টেম্বর তিন মাসের অস্থায়ী স্থগিতাদেশ দেন, যা আগামী ১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত বহাল আছে। আগামী ৫ জানুয়ারি এই ইউনিয়নে নির্বাচন। নৌকার প্রার্থী মিজানুর রহমান খান বলেন, ‘আমার বি’রুদ্ধে যত অ’ভিযোগ উঠেছে, সব মি’থ্যা। আমি ষ’ড়যন্ত্রের শি’কার।’

ভোলা জে’লা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জে’লা পরিষদ চেয়ারম্যান আবদুল মমিন টুলু বলেন, ‘দু’র্নীতির অ’ভিযোগে অ’ভিযুক্ত রাজাপুর ইউপির চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান খানের সাময়িক বরখাস্ত ও তৃণমূলের ডেলিকেটদের ভোট মূল্যায়ন করে রেজাউল হক মিঠু চৌধুরীর নাম এক নম্বরে রেখে কেন্দ্রে পাঠিয়েছিলেন, কিন্তু কেন্দ্রীয় মনোনয়ন বোর্ড মিজানকেই আবার মনোনয়ন দিয়েছে।’ সূত্রঃ কালের কন্ঠ