মা’ দক খাইয়ে মাকে বাইরে রেখে কি’শোরীকে ধ’ র্ষণ করেন কিংবদন্তি ম্যারাডোনা! বি’স্ফোরক যুবতী

| আপডেট :  ২৩ নভেম্বর ২০২১, ০৩:৪৪ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ২৩ নভেম্বর ২০২১, ০৩:৪৪ অপরাহ্ণ

ম’রেও শান্তি নেই! মৃ’ত্যুর এক বছর পূর্তির দু’দিন আগেও বিতর্ক ছাড়ল না ফুটবলের রাজপুত্র দিয়াগো ম্যারাডোনাকে। এক কিউবান যুবতী ম্যারাডোনার বি’রুদ্ধে যৌ’ন হে’নস্থা এবং ধ”ণের অ’ভিযোগ আনলেন। ম্যারাডোনা আর অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন ছিল প্রায় সমার্থক।

তার অকাল প্রয়াণের কারণ এই অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপনই, এমনটা মনে করেন অনেকেই। অ’ভিযোগ ছিল, তিনি ধূমপান, ম’দ্যপান, মা’দক সেবন করতেন যথেচ্ছ। নারীদের প্রতি আকর্ষণও কম ছিল না। বহুবার তাকে জড়িয়ে কেচ্ছা-কে’লেঙ্কারিও রটেছে। সম্প্রতি এক কিউবান যুবতী মাভিস আলভারেজ রেগো অ’ভিযোগ করলেন, প্রায় বছর ২০ আগে ম্যারাডোনা তাকে যৌ’ন হে’নস্থা ও ধ”ণ করেন।

৩৭ বছর বয়সী এই কিউবান নারী সম্প্রতি মানব পা’চারের মা’মলায় আর্জেন্টিনার বিচার বিভাগের সামনে সাক্ষ্য দিতে ২০ বছর পর যুক্তরাষ্ট্রের মায়ামি থেকে আর্জেন্টিনায় এসেছেন। স্থানীয় গণমাধ্যম ‘ইনফোবে’কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, ‘২০০১ সালে একবার আমি ম্যারাডোনার সঙ্গে আর্জেন্টিনায় আসি। এবার দ্বিতীয় দফায় এলাম। আমাকে বাক্সে ভরে সবার অগোচরে আনার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু পরে দিয়াগোর বন্ধু ফিদেল কাস্ত্রোর সহযোগিতা ও বিশেষ অনুমতিতে বুয়েনস এইরেসে আমি যেতে পারি।’

তারা গিয়ে উঠেন হাভানার এক হোটেলে। সেই হোটেলে মাভিসের মাও এসেছিলেন মেয়ের সঙ্গে দেখা করতে। মাভিস আরও বলেন, ‘ম্যারাডোনা আমার মুখ চে’পে রেখেছিলেন, যাতে আমি চি’ৎকার না করতে পারি। আমি তাই কিছু বলতে পারিনি। এরপর আমাকে ধ”ণ করেন তিনি। সেদিন মা আমার সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন। তিনি জানতেন, আমরা ওই হোটেলের কোন কক্ষে ছিলাম। কিন্তু ডিয়েগো কক্ষের দরজা খোলেননি। আমার মা কেঁ’দে কেঁ’দে দরজায় কড়া নেড়েই যাচ্ছিলেন। তাও ডিয়েগো রাজি হননি। পরে ক্লান্ত হয়ে আমার মা চলে যান। কারণ, ম্যারাডোনা দরজা খুলছিল না।’

২০ বছর আগের এই ঘটনা এতদিন পর সামনে আনার কারণ সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয় মাভিসের কাছে। জবাবে তিনি বলেন, ‘দেখু’ন, ফিদেল কাস্ত্রোও মা’রা গেছেন, ডিয়েগো ম্যারাডোনাও মা’রা গেছেন। আমার মেয়ের বয়স এখন ১৫ বছর। মনে হয়েছে, আমার মেয়ের বয়স এখন ঠিক তেমন, যে বয়সে আমার সঙ্গে ওসব হয়েছিল। আমি হোটেল থেকে বেরোতে পারতাম না, আমাকে আ’টকে রাখা হয়েছিল। আমাকে অ’পহরণ করে নিয়ে আসা হয়েছিল। আমি কিছুই জানতাম না শহরটার ব্যাপারে। সব সময় একজন বা দুজন আমাকে দেখে দেখে রাখত।’

২০২০ সালের ২৫ নভেম্বরে হৃদরো’গে আ’ক্রান্ত হয়ে মৃ’ত্যু হয় ফুটবল ইতিহাসের অন্যতম সেরা খেলোয়াড় ম্যারাডোনার। সেই মৃ’ত্যু নিয়েও এখনো র’হস্য রয়েছে। মৃ’ত্যুর আসল কারণ, চিকিৎসকের গাফিলতি ইত্যাদি বিভিন্ন বি’ষয় নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে।