স্বামীর বটির কো পে আঙুল বি চ্ছিন্ন, কাল এসএসসি পরীক্ষায় বসা হবে না সুমাইয়ার

| আপডেট :  ১৩ নভেম্বর ২০২১, ০৯:৪০ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ১৩ নভেম্বর ২০২১, ০৯:৪০ অপরাহ্ণ

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে স্বামীর বটির কো’পে ডান হাতের আঙুল বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে সুমাইয়া নামে এক বাল্যবধূর। সুমাইয়ে এবারের এসএসসি পরীক্ষার্থী। আঙুল বিচ্ছিন্ন হওয়ায় রবিবার (১৪ নভেম্বর) পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে না সে। সুমাইয়া এখন মির্জাপুর কুমুদিনী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

জানা গেছে, ক’রোনার সময়ে (৭ মাস আগে) স্কুল বন্ধ থাকায় প্রবাসী সাইফুল ইসলামের সঙ্গে বিয়ে হয় সুমাইয়ার। সাইফুল মির্জাপুর উপজে’লার বাঁশতৈল ইউনিয়নের আমড়াতৈল গ্রামের বিল্লাল হোসেনের ছেলে এবং সুমাইয়া উপজে’লার গোড়াই ইউনিয়নের সোহাগপাড়া এলাকার খাইরুল ইসলামের মেয়ে।

সুমাইয়া বাবার বাড়িতে থাকায় গত রবিবার সাইফুল শ্বশুরবাড়িতে আসেন। শুক্রবার ভোরে হঠাৎ ঘুমন্ত সুমাইয়াকে বটি দিয়ে কো’পাতে থাকেন সাইফুল। নিজেকে বাঁচাতে গিয়ে সুমাইয়ার ডান হাতের একটি আঙ্গুল বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তার চি’ৎকার শুনে মা নাছিমা বেগম ও বোন খাদিজা আক্তার শিমু আক্তার এগিয়ে গেলে সাইফুল তাদেরকেও কু’পিয়ে জ’খম করে। পুলিশ ও পার্শ্ববর্তী লোকজন তাদের উ’দ্ধার করে কুমুদিনী হাসপাতালে ভর্তি করে।

সুমাইয়া গোড়াই উচ্চ বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এসএসসি পরীক্ষা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আঙ্গুল বিচ্ছিন্ন হওয়ায় তার পক্ষে পরীক্ষায় অংশ নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না বলে গোড়াই উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক লুৎফর রহমান জানিয়েছেন। ছোট বোন খাদিজা আক্তার শিমুও একই বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সুমাইয়া কা’ন্না জ’ড়িত কণ্ঠে বলে, ‘আমার সহপাঠীরা সবাই পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে। আমার মা গার্মেন্টে চাকরি করে সংসার এবং দুই বোনের লেখাপড়ার খরচ চা’লিয়েছে। একটি আশা নিয়ে লেখাপড়া করতেছিলাম। আর এখন আমি আঙুল হা’রিয়ে হাসপাতালে ভর্তি থাকায় পরীক্ষা দিতে পারছি না।’

কুমুদিনী হাসপাতালের পরিচালক ডা. প্রদীপ কুমার রায় বলেন, ‘সুমাইয়া পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার বি’ষয়ে আমাদেরকে কিছু জানানো হয়নি।’ মির্জাপুর উপজে’লা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. হাফিজুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, কোন পরীক্ষার্থী সিক বেডে পরীক্ষা দেওয়ার জন্য আবেদন করেননি।