মানুষ ভাবতো পুলিশ, পুলিশ ভাবতো দুদক কর্মচারী, আসলে তিনি…

| আপডেট :  ১৩ নভেম্বর ২০২১, ০৪:০৪ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ১৩ নভেম্বর ২০২১, ০৪:০৪ অপরাহ্ণ

সবার কাছে তিনি পরিচিত পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে। সবাই যেন বিশ্বাস করে এজন্য পুলিশের ইউনিফর্ম পড়ে নিয়মিত ফেসবুকে ছবিও দেন। কখনও ব’ন্দুক হাতে, কখনও ওয়াকিটকি হাতেও ছবি তুলেছেন নিজেকে পুলিশ প্রমাণের জন্য। আবার পুলিশের কাছে তিনি পরিচিত দুদক কর্মচারী হিসেবে। কেউবা আবার চেনেন এনএসআই কর্মচারী হিসেবেও। এসবের কোনোটিই ঠিক নয়। তিনি একজন ‘প্র’তারক’। প্র’তারণার অ’ভিযোগে পুলিশ তাকে আ’টক করেছে।

শুক্রবার (১২ নভেম্বর) বিকেলে চুয়াডাঙ্গা থেকে এই প্র’তারককে গ্রে’প্তার করেছে পুলিশ। গ্রে’প্তার প্র’তারকের নাম তৌহিদ হোসেন। তিনি চুয়াডাঙ্গা সদর উপজে’লার গাইদঘাট গ্রামের মিল্লান হোসেনের ছেলে। জানা গেছে, তৌহিদ হোসেন দীর্ঘদিন ধরেই নিজেকে পুলিশ কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে আসছিলেন। এই পরিচয় দিয়ে তিনি মানুষের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন।

জি’জ্ঞাসাবাদে তৌহিদ হোসেন জানান, এক নারীকে চুয়াডাঙ্গা থানার পুলিশ বলে পরিচয় দেন তিনি। তাকে বিশ্বাস করানোর জন্যই থানার সামনে ঘোরাফেরা করছিলেন। তৌহিদের বি’রুদ্ধে এক নারী প্র’তারণার অ’ভিযোগে মা’মলা করেছেন। পুলিশ বা’দী হয়ে আরেকটি মা’মলা করেছে।

চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্ম’দ মহসীন বলেন, ‘তৌহিদ হোসেন নিজেকে কখনো পুলিশ কখনো এনএসআই হিসেবে পরিচয় দিয়ে প্র’তারণা করে থাকেন। প্র’তারণার সুবিধার জন্য তিনি ফেসবুকে এসব ছবি ব্যবহার করেন। বিভিন্ন বাহিনীর সদস্য সেজে মূলত টাকা হাতিয়ে

নেওয়াই ছিল তার কাজ। শনিবার তাকে চুয়াডাঙ্গা আ’দালতে সোপর্দ করা হবে।’ চুয়াডাঙ্গা বড় বাজার থেকে শুক্রবার বিকেলে চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশ তৌহিদ হোসেনকে আ’টক করেছে। তার বি’রুদ্ধে একাধিক মা’মলা দা’য়ের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।