এএসআইকে গাছে বেঁধে রাখায় গ্রেফতার ১৩

| আপডেট :  ১ নভেম্বর ২০২১, ০৩:১১ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ১ নভেম্বর ২০২১, ১০:০৭ পূর্বাহ্ণ

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের কঞ্চিবাড়ি এক মামলার বাদীর সঙ্গে ‘আপত্তিকর’ অবস্থায় দেখে গ্রামবাসির হাতে তোফাজ্জল হোসেন নামের এক এএসআই আটক করে গাছে বেঁধে রাখা ও মারধরের ঘটনায় শনিবার রাতে কঞ্চিবাড়ি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মিজানুর রহমান বাদী হয়ে সুন্দরগঞ্জ থানায় মামলাটি দায়ের করেন।

সুন্দরগঞ্জের শ্রীপুর ইউনিয়নের ধর্মপুর গ্রামে অভিযান চালিয়ে রবিবার (৩১ অক্টোবর) দুপুর পর্যন্ত ১৩ আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রিমাণ্ডের আবেদন করে আসামিদের আদালতে পাঠানো হয়েছে। মামলার অন‌্য আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

মামলায় ওই গ্রামের মাসুদ মিয়াকে প্রধান আসামি করে ২০ জন নামীয় ও অজ্ঞাত ৬০-৭০ জনকে আসামি করা হয়। গ্রেফতার আসামিরা হলেন– আবদুল খালেক, আমজাদ আলী, সুমন মিয়া, বকুল মিয়া, মকুল মিয়া, জহুরুল ইসলাম, শাহজাহান আলী, আবদুর রাজ্জাক, হামিদুল ইসলাম, রবিউল মিয়া, ইসলাম মিয়া, নাজমুল হক ও রাজু মিয়া। তাদের সবার বাড়ি ধর্মপুর গ্রামে।

মামলার বাদী এজাহারে উল্লেখ করেন, গত ২৯ অক্টোবর রাতে সাড়ে ৮টার দিকে একটি মামলার বাদীর বাড়ি যান কঞ্চিবাড়ি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) তোফাজ্জল হোসেন। বাদীর অভিযোগ শুনে ফেরার সময় তার ভাসুর মাসুদ তোফাজ্জলকে অশোভন ভাষায় গালিগালাজ করেন। এ সময় চিৎকার দিয়ে মাসুদ এলাকাবাসীকে একত্রিত করে তাকে আটক করেন। এরপর মিথ‌্যা গুজব ছড়িয়ে তোফাজ্জলকে বাড়ির উঠানের আম গাছে বেঁধে মারধর করাসহ তার পকেটে থাকা নগদ টাকা ও হাতঘড়ি ছিনিয়ে নেয়। খবর পেয়ে পুলিশ তাকে উদ্ধার করতে গেলে এলাকাবাসী উত্তেজিত হয়ে হামলার চেষ্টা চালায়।

উল্লেখ্য, শুক্রবার রাত ১০টার দিকে ছড়ারপাতা গ্রামের এক সৌদিপ্রবাসীর বাড়িতে যান তোফাজ্জল। কিছু সময় পর ওই প্রবাসীর স্ত্রীর সঙ্গে গোয়ালঘরে ‘আপত্তিকর’ অবস্থায় তাকে দেখে ফেলেন এক প্রতিবেশী। খবর পেয়ে তোফাজ্জলকে আটক করে গাছের সঙ্গে বেঁধে পুলিশে খবর দেয় গ্রামবাসী।