আ’লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীর কর্মীর হাত-পায়ের রগ কে টে নদীতে নিক্ষেপ

| আপডেট :  ৩১ অক্টোবর ২০২১, ১১:৩৭ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ৩১ অক্টোবর ২০২১, ১১:৩২ অপরাহ্ণ

বগুড়ার শিবগঞ্জে বিহার ইউপি নির্বাচনে বি’রোধের জের ধরে বি’দ্রোহী প্রার্থীর সমর্থক আওয়ামী লীগ কর্মী রবিউল ইসলামের (২৮) হা-পায়ের রগ কে’টে নদীতে ফে’লে দিয়েছে প্রতিপক্ষ নৌকা মার্কার সমর্থকরা। এ সময় ২০টি বাড়িঘরে হা’মলা চা’লিয়ে ব্যাপক ভা’ঙচুর করা হয়।রোববার দুপুরে বিহার ইউপি সদস্য আবু রায়হানের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটেছে। রবিউল তারই ভাই। এ ঘটনায় শিবগঞ্জের বিহার হাট ও আশপাশের এলাকায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

আসন্ন বিহার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী জে’লা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মহিদুল ইসলাম আ’হত রবিউলের ভাই শিমুল হ’’ত্যা মা’মলার প্রধান আ’সামি হওয়ায় রবিউল ও তার পরিবার আওয়ামী লীগের কর্মী-সমর্থক হলেও তারা দলের বি’দ্রোহী প্রার্থী যুবলীগ নেতা মতিউর রহমানের পক্ষে কাজ করছে।

রবিউলের ভাই বিহার ইউপি সদস্য আবু রায়হান জানান, এবার প্রার্থী হওয়ার পর থেকেই মহিদুল ও তার কয়েকজন ক্যাডার গ্রামে গ্রামে তা’ণ্ডব শুরু করেছে। গত ১৭ অক্টোবর রাতে তারা বিহার হাটে অবস্থিত বি’দ্রোহী প্রার্থীর মোটরসাইকেল মার্কার অফিসে হা’মলা চা’লিয়ে ২ জনকে ধা’রালো অ’স্ত্র দিয়ে কু’পিয়ে যখম করে এবং হাটের ভেতরে দুটি দোকান ভা’ঙচুর করে।ওই ঘটনায় দুটি মা’মলা হলেও পুলিশ কোন আ’সামি গ্রে’ফতার করেনি, এমনকি আ’সামিরা জা’মিনও নেননি।

রোববার সকাল থেকে তারা বিহার বাজারে অবস্থান নিয়ে বি’দ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকদের মা’রপিট শুরু করে। পরে সম্মিলিতভাবে তাদের বা’ধা দিলে তারা বাজার ছেড়ে বিভিন্ন পাড়ায় ঢুকে তা’ণ্ডব শুরু করে। এক পর্যায়ে বি’দ্রোহী প্রার্থীর বাড়িতে হা’মলা করে সেখানে থাকা তার ভাই রবিউলকে তুলে নিয়ে যায়। পরে তাকে দুই হাত ও ডান পায়ের রগ কে’টে দিয়ে নাগর নদীতে ফে’লে দেয়। একই সময় তাদের গ্রাম মোন্নাপাড়ার অন্তত ৬টিসহ আশপাশের অন্তত ২০টি বাড়িঘরে হা’মলা ও ভা’ঙচুরের ঘটনা ঘটায় তারা।

আবু রায়হান আরো জানান, গত ৩১ ডিসেম্বর প্রকাশ্যে তার ভাই শিমুলকে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে গিয়ে নি’র্যাতন তরে মুমূর্ষু অবস্থায় মহিদুল ও তার সহযোগীরা গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ এলাকায় ফে’লে দেয়। সেখানেই মা’রা যান শিমুল। ওই মা’মলায় প্রধান আ’সামি মহিদুল চেয়ারম্যান। আসন্ন নির্বাচনে তার বিপক্ষে অবস্থান নেয়ার কারণেই এই হা’মলার ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি করেন তিনি।এ বি’ষয়ে যোগাযোগের চেষ্টা করেও চেয়ারম্যানপ্রার্থী মহিদুল ইসলামের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

শিবগঞ্জ থানার ওসি সিরাজুল ইসলাম বলেন, ঘটনার পরপরই শিবগঞ্জ হাসপাতাল এলাকায় মহিদুলকে আ’টকে অ’ভিযান চা’লানো হয়। এ সময় তিনি তার মোটরসাইকেল ফে’লে পা’লিয়ে গেছেন। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থল ও আশপাশের এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।উল্লেখ্য, আগামী ১১ নভেম্বর বিহার ইউপি নির্বাচনে ভোটগ্রহণের তারিখ নির্ধারিত রয়েছে।