মাংস না পাওয়ায় ভেঙে গেল বিয়ে

| আপডেট :  ২৬ অক্টোবর ২০২১, ১০:০২ পূর্বাহ্ণ | প্রকাশিত :  ২৬ অক্টোবর ২০২১, ০৯:৩২ পূর্বাহ্ণ

প্রায় দুই বছর আগে তাদের বিয়ে হয়েছিলো মুঠোফোনে। বিয়ের পর থেকে বাবার বাড়িতেই অবস্থান করছিলেন কনে। সম্প্রতি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে কনেকে শ্বশুরবাড়ি নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু এখানেই ঘটে বিপত্তি। মাংস চাওয়াকে কেন্দ্র করে ভে’ঙে যায় বিয়েই। ঘটনাটি ঘটেছে চুয়াডাঙ্গায়। বিয়ে বাড়িতে মাংস বেশি চাওয়াকে কেন্দ্র করে বর পক্ষের ৩ জনকে পি’টিয়ে আ’হত করার অ’ভিযোগ উঠেছে কনে পক্ষের লোকজনের বি’রুদ্ধে।

গত রোববার (২৪ অক্টোবর) চুয়াডাঙ্গা সদর উপজে’লার বদরগঞ্জ দশমীতে বেলা সাড়ে ৩টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। পরে সন্ধ্যায় আ’হত তিন জনকে সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। সে ঘটনার পর রাতে বিয়ে বিচ্ছেদ হয় ওই দম্পতির। তবে তা জানাজানি হয় গতকাল সোমবার (২৫ অক্টোবর)।

কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলী আহম্মেদ হাসানুজ্জামান বি’ষয়টি নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, গত ২ বছর আগে দশমী গ্রামের রহিম আলীর সৌদি প্রবাসী ছেলে সবুজ আলীর সঙ্গে একই গ্রামের নজরুল ইসলামের মেয়ে সুমি খাতুনের বিয়ে হয় মুঠোফোনে। বিয়ের পর সুমি বাবার বাড়িতেই থাকতেন।

সম্প্রতি বর সবুজ দেশে ফেরেন। গত রোববার আনুষ্ঠানিকতা শেষে নববধূকে তুলে নেয়ার কথা ছিল। দুপুর পর্যন্ত সবকিছু ঠিকঠাক চলছিল। বিপত্তি বাধে খাবার সরবরাহের সময়। শেষ মুহূর্তে বরপক্ষের লোকজন আরও মাংস চাইলে তা নিয়ে দুই পক্ষের বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে সং’ঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন তারা।

বরপক্ষের লোকজন অ’ভিযোগ করেন, মাংস চাওয়ায় তাদের ও’পর লা’ঠি নিয়ে চড়াও হন কনেপক্ষ। এতে আ’হত হন তিনজন। আ’হতরা হলেন- চুয়াডাঙ্গা সদর উপজে’লার বোয়ালিয়া গ্রামের আলমগীর আলী ছেলে শাহ জামাল (২৮), একই এলাকার মৃ’ত গোলাম রাব্বানীর ছেলে ফারুক হোসেন (৩৫) ও আব্দুর রহিমের ছেলে আসমান আলী (৩৫)।

কনে পক্ষের লোকজন জানিয়েছেন, ভাত না খেয়ে কেবল মাংস চাচ্ছিল বরপক্ষের লোকজন। তা নিয়ে দুই পক্ষের কথা কা’টাকাটির একপর্যায়ে সং’ঘর্ষ হয়। পরে রোববার রাতে দুই পক্ষের সমঝোতায় ভিত্তিতে বিয়ে বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত হয়।