বাংলাদেশের একটি এলাকা এখন মিনি রাশিয়া, বসবাস করেন ৫ হাজার রাশিয়ান

| আপডেট :  ২৫ অক্টোবর ২০২১, ০৩:৪৩ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ২৪ অক্টোবর ২০২১, ১২:৩৬ অপরাহ্ণ

ঈশ্বরদীর রূপপুর এখন মিনি রাশিয়া। প্রকল্প বাস্তবায়নে পাঁচ হাজারের বেশি রাশান থাকায় সেখানকার হাটবাজার দোকানপাটে এসেছে ব্যাপক পরিবর্তন। দেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র এটি। এই প্রকল্প ঘিরে আবর্তিত হচ্ছে বহু মানুষের জীবন জীবিকা। প্রতিটি দোকানেই বাংলার পাশাপাশি রুশ ভাষায় লেখা সাইনবোর্ড। সেলুন থেকে বিপণী বিতান, কিংবা রেস্তোরাঁ সবখানে রুশ হরফ দেখে যে কেউ ভাবতে পারেন কোথায় আছেন, বাংলাদেশ না রাশিয়া?

সাইনবোর্ডগুলো দেখে বলার উপায় এটা বাংলাদেশ! দেড় দুই বছরের ব্যবধানে বদলে গেছে অনেক কিছু। সেলুন থেকে সুপারশপ, ফলের দোকান কিংবা মাছ-মাংসের বাজার, সব সাইনবোর্ডেই দেখা মেলে রাশান ভাষা।যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেশে যেমন লিটল বাংলাদেশ বা লিটল ইন্ডিয়া, ঠিক তেমনই ঈশ্বরদীর রূপপুর হয়ে গেছে এক টুকরো রাশিয়া।

এছাড়াও আবাসিক এলাকা, রেস্টুরেন্ট কিংবা চায়ের আড্ডা সবখানে স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতি রাশানদের। দোকানিদের সাথে তারা যেমন কথা বলছেন বাংলায়, ঠিক তেমনি অনেক দোকানিও আয়ত্ত করেছেন রাশান ভাষা। খাপ খাইয়ে নিয়েছেন এদেশের পরিবেশের সাথে। ব্যবসা বাণিজ্য কর্মসংস্থানের পাশাপাশি হচ্ছে সংস্কৃতি বিনিময়। দায়িত্বশীলরাও উচ্ছ্বসিত চোখের সামনে বদলে যাওয়া রূপপুর দেখে।

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রকল্প পরিচালক ড. শৌকত আকবর বলেন, আমরা একটা টেকনোলজি আত্মস্থ করলাম, একটা কালচার আত্মস্থ করলাম নিশ্চয় এটা আমাদের সমৃদ্ধি করছে। কোনো ওয়ার্কার এখন সাইকেলে আসে না। অধিকাংশের এখন বাইক আছে। রাশানরা বলেছিল যেদিন প্রকল্পের কাজ শেষ হবে কতিপয় ওয়ার্কারের চার চাকার গাড়িই হবে।