হোটেলবয় থেকে কোটিপতি দুই ভাই

| আপডেট :  ১৭ নভেম্বর ২০২০, ০৫:৩৯ পূর্বাহ্ণ | প্রকাশিত :  ১৭ নভেম্বর ২০২০, ০৫:৩৯ পূর্বাহ্ণ

সরকারদলীয় রাজনীতি আর ক্ষমতার অপব্যবহার করে মাত্র ১০ বছরের ব্যবধানে হোটেলবয় থেকে কোটিপতি হয়েছেন দুই সহোদর। বর্তমানে পুরো সদরঘাট এলাকায় চলছে এই দুই সহোদরের ত্রাসের রাজত্ব।

এই দুই ভাইয়ের মধ্যে পাপন ৩৭ নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি আর মিঠু কোতেয়ালি থানা আওয়ামীলীগের সদস্য। এদের মধ্যে পাপন দাবি করেন তার জাহাজের যন্ত্রাংশ বিক্রির ব্যবসা রয়েছে আর মিঠু সদরঘাটের কুলির সর্দার।

জানা গেছে, ক্যাসিনো সম্রাটের হাত ধরে দুই ভাইয়ের এই অবিশ্বাস্য উত্থান। এমনকি অনুসন্ধানে জানা যায় সদরঘাট সংলগ্ন ৪ সিমসন রোডে সাউথ সিটি কমপ্লেক্স শপিং সেন্টারে পাপনের একটি ক্যাসিনো কেন্দ্র রয়েছে। আশেপাশের দোকানিদের তথ্য অনুযায়ী কাঁচ-ঘেরা দোকানটিতে দীর্ঘদিন ধরেই চলে আসছে ক্যাসিনো ব্যবসা। এছাড়া, তথ্য রয়েছে এটি ৩৭ নং ওয়ার্ড যুবলীগের কার্যালয় হিসেবেও ব্যবহৃত হয় এবং এখানে অনেকসময় দেখা মেলে স্থানীয় যুবলীগ নেতাদেরও। তবে ৩৭ নং ওয়ার্ড যুবলীগের সহসভাপতি ইমরান হোসেন বাতাসি যুবলীগের কার্যালয় থাকার বিষয়টি অস্বীকার করেন এবং দাবি করেন তিনি কখনো পাপনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে যাননি। তিনি বলেন, “আমি জানি পাপনের ওখানে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে তবে কিসের ব্যবসা জানি না। আমি কখনও সেখানে যাইনি।”

এদিকে শুধুমাত্র ক্যাসিনো ব্যবসা নয় জানা গেঋে পুরো সদরঘাট এলাকা পাপন ও মিঠুর কাছে জিম্মি। প্রায় দুই শতাধিক যুবককে নিয়ে তারা একটি নিজস্ব বাহিনী গড়ে তুলেছেন। কেউ তাদের কথার অবাধ্য হলেই তাকে তুলে নিয়ে গোপন আস্তানায় অত্যাচার করা হয়। জানা গেছে প্রায়ই স্থানীয় বখাটে, অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের নিয়ে এলাকায় শোডাউন দিয়ে ক্ষমতার জানান দেন পাপন এবং পাপন-মিঠু বাহিনীর প্রধান সহযোগীর নাম নূর ইসলাম। অভিযোগ রয়েছে এই বাহিনীর মাধ্যমে নিয়মিত সদরঘাটের বিভিন্ন দোকান থেকে মাসোহারা আদায় করেন পাপন।

তবে এ বিষয়ে, জাবেদ হোসেন মিঠু বলেন, তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি এবং ক্যাসিনো ব্যবসার অভিযোগ সঠিক নয়। তবে তিনি স্থানীয় একাধিক বৃহৎ মার্কেটের ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি। তিনি দাবি করেন, রাজনৈতিক এবং ব্যবসায়িক প্রতিপক্ষরা উদ্দেশ্যমূলক এসকল অভিযোগ করতে পারে।

এ বিষয়ে পুলিশের লালবাগ বিভাগের উপকমিশনার বিপ্লব বিজয় তালুকদার বলেন, কোতোয়ালি এলাকায় ক্যাসিনো চলছে এমন তথ্য তাদের জানা নেই। তবে ক্যাসিনো থাকলে অবশ্যই আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।

তথ্যসূত্রঃ যুগান্তর