সব
বাংলাদেশ ক্রিকেটের জাতীয় দলের একসময়ের নিয়মিত খেলোয়াড় ছিলেন নাসির হোসেন। মিডল অর্ডারে হয়ে উঠেছিলেন আস্থার জায়গা। তবে সেই ফর্ম ধরে রাখতে পারেননি তিনি। ব্যক্তিজীবনেও জড়িয়েছেন একের পর এক বিতর্কে। সর্বশেষ এয়ার হোস্টেস তামিমা তাম্মিকে বিয়ে করেও জন্ম দিয়েছেন নতুন বিতর্কের।
বিয়ের পরপরই জানা যায় ইতোপূর্বে রাকিব সরকার নামে এক ব্যক্তিকে বিয়ে করেছিলেন তামিমা। সেই সংসারে রয়েছে আট বছরের একটি মেয়েও। আর এর জেরে বিয়ের কিছুদিন পরই তামিমার বিরুদ্ধে মামলা করেন রাকিব। মামলায় দাবি করা হয় রাকিবকে ডিভোর্স না দিয়েই নাসির হোসেনকে বিয়ে করেছেন তামিমা।
আর এই মামলারই তদন্ত প্রতিবেদন আজ বৃহস্পতিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে (সিএমএম) জমা দিয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
তদন্ত পিআইবি প্রমাণ পেয়েছে বিমানবালা তামিমা সুলতানা তাম্মী এখনও ব্যবসায়ী রাকিব হাসানের স্ত্রী। সে হিসেবে ক্রিকেটার নাসির হোসেন ও তার স্ত্রী পরিচয় দেয়া তামিমা যে বিয়ে করেছেন সেটি অবৈধ। সংশ্লিষ্ট মামলার তদন্তে ক্রিকেটার নাসির হোসেন, সৌদিয়া এয়ারলাইন্সের বিমানবালা তামিমা সুলতানা তাম্মী এবং তামিরামার মা সুমি আক্তারকে দোষি উল্লেখ করে প্রতিবেদন জামা দেয়া হয়েছে।
তদন্ত প্রতিবেদনের ভাষ্য অনুযায়ী, তামিমা রাকিবকে তালাক দেননি। লিগ্যালভাবে রাকিব তালাকের কোনও নোটিশও পাননি। তামিমা উল্টো জাল জালিয়াতি করে তালাকের নোটিশ তৈরি করে তা বিভিন্ন মাধ্যমে প্রকাশ করেছেন। যথাযথ প্রক্রিয়ায় তালাক না দেয়ার ফলে তামিমা তাম্মী এখনও রাকিবে স্ত্রী বহাল রয়েছেন। দেশের ধর্মীয় বিধিবিধান ও আইন অনুযায়ী এক স্বামীকে তালাক না দিয়ে অন্য কাউকে বিয়ে করা অবৈধ ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এমন পরিস্থিতিতে ক্রিকেটার নাসির হোসেন ও তামিমা তাম্মীর বিয়ে অবৈধ।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি ভালোবাসা দিবসে বিয়ে করেন ক্রিকেটার নাসির হোসেন ও তামিমা তাম্মী। গত ১৭ ফেব্রুয়ারি হলুদ সন্ধ্যা অনুষ্ঠিত হয়। পরে শনিবার ২০ ফেব্রুয়ারি তাদের বিবাহোত্তর সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়। এমন পরিস্থিতিতে অভিযোগ উঠে স্বামীকে রাকিবকে তালাক না দিয়েই ক্রিকেটার নাসিরের সঙ্গে বিয়ে পিড়িতে বসেন স্ত্রী তামিমা সুলতানা তাম্মী। যেটিকে কেন্দ্র করে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি আদালতে মামলা দায়ের করেন ব্যবসায়ী রাকিব হাসান।
ঢাকা মহানগর হাকিম মোহাম্মদ জসীমের আদালতে রাকিব হাসান বাদী হয়ে দণ্ডবিধির ৪৯৪, ৪৯৭/৫৯৮/৫০০/৩৪ ধারায় মামলাটি দায়ের করেছিলেন। মামলায় নাসির ও তামিমার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আবেদনও করা হয়েছিলো।
