শেকসপিয়ারের আসল নাম শেখ জুবায়ের, যা বললেন মুফতি ইব্রাহিম

| আপডেট :  ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০৭:১৭ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০৭:১৭ অপরাহ্ণ

মুফতি ইব্রাহিম। করোনা সংক্রমণের শুরুতে বক্তব্য দিয়ে তুমুল সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন। ওই সময় করোনাভাইরাসের উৎপত্তি নিয়ে কথা বলেছিলেন। মামুন মারুফ নামে একজন প্রবাসী তাঁকে করোনা নিয়ে ফোন করে জানিয়েছিলেন। এ বিষয়ে মুফতি ইব্রাহিম কালের কণ্ঠকে বলেছিলেন, মামুন মারুফ ইতালিতে থাকে, সে বাঙালি কিন্তু ইতালিপ্রবাসী। আমি তো তাঁকে চিনি না।

আমার ভক্ত আছে এ দেশে ১০-১৫ কোটি । আমি ২০ বছর ধরে মিডিয়াতে কাজ করি। বিটিভিসহ দেশের প্রায় সব টেলিভিশনেই কথা বলেছি। সে কারণে বাংলাদেশের প্রায় সব মানুষই আমাকে চেনে, মামুনও চেনে। মামুন আমার ফোন নম্বর জোগাড় করেছে বহু কষ্টে। আমি তো সবার ফোন ধরি না। পরে আমার পিএস সাহেবকে দিয়ে বহু কষ্টে আমার সাথে যোগাযোগ করেছে।

এবার মুফতি ইব্রাহিম উইলিয়াম শেকসপিয়ারকে নিয়ে কথা বলেছেন। একটি ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যায়- মুফতি ইব্রাহিম বলছেন, ‘শেকসপিয়ারের আসল নাম শেখ জুবায়ের। তিনি অ্যারাবিয়ান।’ এই ভিডিওটি দেশের সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গেছে। বিষয়টি আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।

ভিডিওতে মুফতি ইব্রাহিমকে দেখা যায় একটি ওয়াজ মাহফিলে বক্তৃতা করছেন। এ বিষয়ে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কাজি মুফতি মোহাম্মদ ইব্রাহিমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘যে ভিডিওটি ভাইরাল হয়েছে সেটি সম্ভবত ১০-১২ বছর আগের। আমি মাহফিলে যে বক্তব্য দিয়েছি, সেটি বলেছিলেন গাদ্দাফি। উনি বলেছিলেন আরবের যেসব পরিবার হিজরত করেছিল তাদেরই বংশধর। আমি গাদ্দাফির বক্তব্যেই শুনেছি।’

তিনি বলেন, ইংরেজদের নামের পরিবর্তনের ধারায় শেকসপিয়ার নামটিও পরিবর্তন হয়েছে। যেমনটা পরিবর্তন হয়েছে ইসহাক থেকে আইজাক, ইবনে সিনা, এবেসিনা, ইউসুফ থেকে যোশেফ। এর আগে করোনাভাইরাস প্রসঙ্গে বলেছিলেন, মানুষ বিভিন্ন সময় ধারণা করে। সেই ধারণা ভুল হতে পারে, সেটা আংশিক বা পূর্ণাঙ্গ সত্যি হতে পারে।

বিভিন্ন কারণ থেকে মানুষ কথা বলে, কিন্তু এসব তো রোখার সাধ্য নেই কারো।মানুষ নিজের পয়েন্ট অব ভিউ থেকে কথাগুলো বলে। যেমন- অনেকেই মন্তব্য করেছে ভাইরাস আবার কথা বলে নাকি? কিন্তু সে জানে না পৃথিবীর সব সৃষ্টিই কথা বলার পাওয়ার রাখে। হাশরের দিন এই মাটির পৃথিবী সমস্ত সংবাদ পরিবেশন করবে। করোনার টিকা নিয়ে বলেছিলেন, ফাইজার তুরস্কের একটি ছেলে আবিষ্কার করেছে। সে আসলে মুসলিম।