সব
মোবাইল হারিয়ে গেলে সেই মোবাইল ফিরে পাওয়া বেশ কঠিন। অনেক ক্ষেত্রে থানায় জিডি করেও লাভ হয় না। তবে এক্ষেত্রে অনেকটাই ব্যতিক্রম গুলশান থানার এএসআই আব্দুল কাদের। হারানো মোবাইল খুঁজে বের করাই তার অন্যতম নেশা। কর্মজীবনে ছিনতাই অথবা হারিয়ে যাওয়া অন্তত তিন হাজার মোবাইল খুঁজে তিনি তুলে দিয়েছেন প্রকৃত গ্রাহকের হাতে।
বর্তমানে পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছে যে, মোবাইল হারানোর সাধারণ ডায়েরি হলেই তার ডাক পড়ে। আর তিনিও নতুন চ্যালেঞ্জ নিয়ে মাঠে নেমে পড়েন। কর্মক্ষেত্রের ব্যস্ততায় কখন সকাল গড়িয়ে দুপুর বা বিকেল হয় তা খুব একটা টের পান না।
কাদের জানান, ২০০৫ সালে কনস্টেবল হিসেবে কর্মজীবন শুরু হয় তার। ষোল বছরের চাকরি জীবনের অর্ধেকের বেশী সময় পার করেছেন হারানো মোবাইল উদ্ধারের নেশায়। ২০১৩ সাল থেকে প্রায় তিন হাজার হারানো মোবাইল উদ্ধার করেছেন তিনি। বিগত আড়াই বছরে শুধু গুলশান থানার জিডির বিপরীতেই ৬০০ মোবাইল গ্রাহককে ফিরিয়ে দিয়েছেন তিনি।
কাদের জানান, মোবাইল উদ্ধারের ক্ষেত্রে কোনোটিতে সময় নিয়েছেন পাঁচ দিন, কোনোটির জন্য লেগে ছিলেন দুই বছর। মোবাইল খোঁজার ক্ষেত্রে বাজারমূল্য তার কাছে তেমন গুরুত্বপূর্ণ নয়। অনেকসময় গরীব রিক্সাওয়ালা কিংবা শ্রমিকরা তাদের হারানো ফোন উদ্ধারের আশায় তার কাছে এসে জিডি করেন। সমান গুরুত্বের সাথেই তিনি তাদের হারানো মোবাইল উদ্ধারের চেষ্টা করেন।
কাদের আরও বলেন, অনেক দামি জিনিস হারানোর চাইতে মোবাইল হারানোর কষ্ট অনেক বেশি। জিডি করার পর ফোন উদ্ধার করে ভুক্তভোগীকে ফোন দিলে তারা অনেকে বিশ্বাসই করতে চায় না।
এরইমধ্যে পুলিশ থেকে ১৬ বার পুরস্কৃত হয়েছেন কাদের। বর্তমানে প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পাঁচ শতাধিক অভিযোগ আসে কাদেরের কাছে। নিজ থানা ছাড়াও নানা স্থান থেকে হারানো মোবাইল খুঁজে পেতে ভুক্তভোগীরা আসেন গুলশান থানায়।
৩৫ বছরের ছোট কনের সাথে বিয়ের পিঁড়িতে অধ্যাপক শওকত আলী 
ই’সলাম গ্রহণ করায় লা’শ নেয়নি বাবা, মায়ের সঙ্গে শেষ দেখা হলো না সাঈদের! 
স্ত্রী চলে গেছেন তাই বিয়ের খরচ ফেরত চেয়ে শ্বশুরবাড়ি এলাকায় মাইকিং 
নলছিটিতে সরকারি জমি দখলের অভিযোগ সাবেক ছাত্রদল নেতার বিরুদ্ধে 
বৃদ্ধাশ্রমে চিরবিদায় নিলেন প্রকৌশলী বাবা, জানাজায় অংশ নেয়নি সন্তানরা