সব
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার বোয়ালিয়া ইউনিয়নে মাতৃত্বকালীন ভাতা পাচ্ছেন অবিবাহিতা নারীরা। সন্তান জন্ম না দিয়েও তুলছেন ভাতা।অনেকের সন্তান বড় হয়ে গেলেও জনপ্রতিনিধিদের হাত করে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে নাম তুলছেন মাতৃত্বকালীন ভাতায়।
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার বোয়ালিয়া ইউনিয়নে এমন অনিয়মের তথ্য মিলেছে। ভুক্তভোগীরা জানান, দৌলতপুর উপজেলার বোয়ালিয়া ইউনিয়নে মাতৃত্বকালীন ভাতার তালিকায় রয়েছেন অবিবাহিত নারী ও বড় বড় সন্তানের মায়েরাও। ভাতা পেতেও মোটা অঙ্কের অর্থ দিতে হয়েছে। সন্তান নেই তবুও মিলেছে মাতৃত্বকালীন ভাতা।
সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের বাসিন্দা না হয়েও অর্থ তুলছেন অনেকেই। একজনের ছবির স্থানে অন্যের ছবি ব্যবহার করে অর্থ আত্মসাৎ করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। এসবের পেছনে রয়েছেন ইউপি চেয়ারম্যান ও ভাতা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা কর্মচারীরা। তাদের যোগসাজশে এমনটি হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তারা।
এতে গর্ভবতী দরিদ্র মায়েদের জন্য নেয়া এ উদ্যোগ প্রশ্নের সম্মুখীন হচ্ছে। এই ইউনিয়নেই দরিদ্র মায়েদের জন্য মাতৃত্বকালীন ভাতা প্রদান কর্মসূচির আওতায় তিনবছর ধরে এমন অনিয়ম চলছে। বোয়ালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন বিশ্বাস বলেন, এতে আমার কোনো দোষ নেই।
অনিয়ম হয়েছে তবে তালিকা যাচায় বাছাইয়ে যারা দায়িত্বে ছিলেন তারাই এমনটি করেছেন। এর দায় আমার নয়। কুষ্টিয়া জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদফতরের উপপরিচালক নূরে সফুরা ফেরদৌস বলেন, এমন তথ্য প্রমাণিত হলে জড়িতদের কোনো ছাড় দেয়া হবে না। দৌলতপুরের ইউএনও সারমিন আক্তার বলেন, দোষীদের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে।