ছাত্রদল কর্মী এখন যুবলীগের সভাপতি!

| আপডেট :  ২৬ জুলাই ২০২১, ১২:৩০ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ২৬ জুলাই ২০২১, ১২:৩০ অপরাহ্ণ

স্টাফ রিপোর্টার: নেত্রকোনা জেলার বারহাট্টা হাদিস ফকির নামে ছাত্রদলের এক কর্মীকে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি করেছেন জেলা যুবলীগ। তাকে সভাপতি করায় স্থানীয় আওয়ামী লীগের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির চেয়ারম্যান বরাবরে একটি আবেদন করেছেন সাবেক যুবলীগের আহবায়ক মোহাম্মদ রফিক সারোয়ার খান রতন ও যুগ্ম আহবায়ক শাহীনুর রহমান শাহীন।

তারা যৌথ স্বাক্ষরে কমিটি বাতিলের জন্য দাবি জানান। অভিযোগ রয়েছে হাদিস ফকির মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে বারহাট্টা উপজেলা যুবলীগের সভাপতি হয়েছেন। বারহাট্রা উপজেলার গোরল গ্রামের আমবাজ ফকিরের ছেলে হাদিস ফকির নিজে ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন এবং তার পরিবারের সবাই বিএনপির রাজনীতি করেন।

উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতারা তাকে পাত্তা না দেওয়ায় তিনি তার ব্যবসার সুবিধার্থে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি পদটি বাগিয়ে নেন।
এরপর হাদিস ফকির এলাকায় দান-অনুদান দেওয়ার মাধ্যমে ব্যানার করে নিজেকে আওয়ামী যুবলীগের পদের যাত্রা শুরু করেন।

আওয়ামী লীগ নেতারা বলেন, হাদিস ফকির আমাদের কাছে অনেকবার এসেছেন যে কোনো কিছুর বিনিময়ে তাকে আওয়ামী লীগের সদস্য করার জন্য। আমরা জানি সে অতীতে ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিল।

তার বড় ভাইয়েরা ও তার পরিবারের লোকজন বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। তাই আমরা তাকে সদস্য করতে পারি নাই। হঠাৎ দেখি পোস্টার-ব্যানার দিয়ে নিজেকে উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি প্রচার করতে থাকে। এটা আমাদের জন্য খুবই লজ্জার এবং দুঃখ্যজনক।

উপজেলা ছাত্রদলের এক নেতা বলেন, হাদিস ফকিরবারহাট্রা কলেজ ছাত্রদলের কর্মী হিসেবে সক্রিয় ছিল। তার ভাইয়েরা এখনো আমাদের দলের উপজেলা ও ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য। এখন সে নাকি উপজেলা যুবলীগের সভাপতি হওয়ার পরে অনেক টাকার মালিক হয়েছে , জেলা যুবলীগের নেতাদের সঙ্গে চলাফেরা করে।

উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সাবেক যুবলীগ নেতারা অনেকই ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের শাসনামলে আওয়ামী পরিবারগুলোর ওপর পাশবিক নির্যাতনসহ নানাভাবে হয়রানি করা লোকেদের আওয়ামী যুবলীগে কমিটিতে স্থান পাওয়া মেনে নেওয়া যায় না।

এতে যারা জেল-জুলুম-হুলিয়া মাথায় নিয়ে পালিয়ে থেকেছেন, নানা নির্যাতনের শিকার হয়েছেন, সেই নেতারা বাদ পড়ে যান। তারা হাদিসকে বহিষ্কারের দাবি করেন। অন্যথায় তৃণমূল আওয়ামী যুবলীগ তার বহিষ্কারের দাবিতে কেন্দ্রীয় কমিটির চেয়ারম্যান বরাবর অভিযোগ করেন।