স্কুলছাত্রীকে মুখ-হাত-পা বেঁধে ধর্ষণের পর ‘জীবন্ত মাটিচাপা’, গা শিউরে ওঠা বর্ণনা

| আপডেট :  ১২ জুলাই ২০২১, ০৫:১২ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ১২ জুলাই ২০২১, ০৫:১২ অপরাহ্ণ

দীর্ঘদন ধরেই চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রীকে বিরক্ত করছিলেন সুমন চন্দ্র দাস। দেখাতেন বিভিন্ন ভয়ভীতিও। শেষমেশ দুনিয়া থেকে নিমর্মভাবে সরিয়ে দিলেন। প্রথমে ১১ বছর বয়সী শিশুটিকে ধর্ষণ করেন। এতে অজ্ঞান হয়ে পড়ে শিশুটি। মৃত ভেবে কোদাল দিয়ে গর্ত খোঁড়েন সুমন। তখনো বেঁচে ছিল ভুক্তভোগী। এরপর মাটিচাপা দিয়ে বাড়ি চলে যান।

এভাবেই দিনাজপুরের কাহারোল উপজেলার রসুপুল ইউনিয়নের বনড়া গ্রামে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনার বর্ণনা দেন ঘাতক সুমন। শনিবার সন্ধ্যায় দিনাজপুর আমলি আদালত-৩ এর বিচারক শারমিন আক্তারের কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দিয়েছেন তিনি।

রোববার এ তথ্য নিশ্চিত করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জেলা ডিবি পুলিশের এসআই আশরাফুজ্জামান। সুমন জেলার কাহারোল উপজেলার বড় পাহাড়পুর শাহাপাড়ার জগদীশ চন্দ্র দাশের ছেলে।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জেলা ডিবি পুলিশের এসআই আশরাফুজ্জামান জানান, সেদিনের ঘটনার পর থেকেই এক এক করে ৪৪ জনকে আটকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। এরপরও হত্যার কোনো ক্লু খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। একপর্যায়ে নিহত স্কুলছাত্রীর দাদি জানান- পাশের গ্রামের বড় পাহাড়পুর শাহাপাড়ার সুমন প্রায়ই মেয়েটিকে উত্ত্যক্ত করতো।

এর সূত্র ধরে ডিজিটাল প্রযুক্তির মাধ্যমে ৬ জুলাই রাতে নিজ বাড়ি থেকে সুমনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরের দিন আদালতে হাজির করলে সাতদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন বিচারক।

জানা গেছে, মেয়েটি প্রাইভেট পড়তে যাওয়ার সময় স্থানীয় তরলা বাজার এলাকায় রাস্তা থেকে মুখ চেপে ধরে পাশের পাটক্ষেতের ভেতর নিয়ে যান সুমন। এরপর রশি দিয়ে মুখ ও হাত-পা বেঁধে তাকে ধর্ষণ করেন। একপর্যায়ে মেয়েটি অজ্ঞান হয়ে পড়লে মৃত ভেবে ফেলে রেখে বাড়িতে চলে যান তিনি। পরে রাত ৩টার সময় বাড়ি থেকে কোদাল নেন। এরপর সেখানেই গর্ত খুঁড়ে মেয়েটিকে মাটিচাপা দেন সুমন। সে সময়ও মেয়েটি বেঁচে ছিল। পরে সুমন তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন।

৪ জুলাই কাহারোল উপজেলার রসুপুল ইউনিয়নের বনড়া গ্রামের একটি বিলের পাশ থেকে চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ুয়া এক ছাত্রীর মাটিচাপা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।