জনগণের তাড়া খেয়ে ট্রলার নিয়ে পালালেন সাংসদ

| আপডেট :  ২ জুন ২০২১, ০৫:২৫ পূর্বাহ্ণ | প্রকাশিত :  ২ জুন ২০২১, ০৫:২৫ পূর্বাহ্ণ

প্রায় প্রতিবছরই ঘূর্ণিঝড়ে খুলনার কয়রা এলাকার বাঁধ ভেঙ্গে যায় এবং সাধারণ জনগণকে স্বেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে বাঁধ নিরমাণ করতে হয়। ব্যতিক্রম ঘটেনি ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের ক্ষেত্রেও। গতকাল সকাল থেকেই কয়রার কয়েক শ মানুষ মহারাজপুর ইউনিয়নের দশহালিয়া এলাকায় কপোতাক্ষ নদের ভেঙে যাওয়া বাঁধ স্বেচ্ছাশ্রমে মেরামতে করছিলেন।

পরবর্তীতে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে খুলনা-৬ (পাইকগাছা-কয়রা) আসনের সাংসদ মো. আক্তারুজ্জামান একটি ট্রলার নিয়ে সেখানে উপস্থিত হন। কিন্তু বাঁধে কাজ করা উত্তেজিত জনতা সাংসদকে দেখেই ক্ষিপ্ত হয়ে ট্রলারের দিকে কাঁদা ছুড়ে মারতে থাকেন। বাধ্য হয়ে সেখান থেকে ট্রলার নিয়ে চলে যান সাংসদ।

পরবর্তীতে প্রায় আধা ঘণ্টা পর কাজ করতে থাকা মানুষকে শান্ত করা হলে আবার সাংসদ সেই ভাঙা বাঁধের কাছে যান। এ সময় সাংসদ মাইকে স্থায়ী বাঁধ না করতে পারায় নিজের ব্যর্থতার কথা স্বীকার করে সাধারণ মানুষের সঙ্গে বাঁধ মেরামতের কাজে লেগে পড়েন। কিন্তু সেটিও পছন্দ হয়নি কাজ করতে থাকা সাধারণ মানুষের। সাংসদ কাজে নামার পর অধিকাংশ মানুষ কাজ ছেড়ে দিয়ে চলে যান।

এদিকে এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে দেখা যায়, বাঁধের কাছে সাংসদের ট্রলার আসা মাত্রই সাংসদের ট্রলারকে লক্ষ্য করে বৃষ্টির মতো কাঁদা ছুড়ছেন সাধারণ মানুষ। আর টিকতে না পেরে পিছু হটছে ট্রলার। এসময় মাইকে উত্তেজিত মানুষকে শান্ত হওয়ার জন্য একজনকে আকুতি জানাতে শোনা যায়। এছাড়া ভিডিওতে সাংসদের ট্রলার ফিরে যেতে দেখে হাততালি দেওয়ার শব্দও শোনা যায়।

তবে এ বিষয়ে সাংসদ মো. আক্তারুজ্জামান দাবি করেছেন, তাঁকে বহনকারী ট্রলারে কাঁদা ছুড়ে মারা হয়নি। ভাঙন এলাকায় কয়েক হাজার মানুষ কাজ করছিলেন । সেখানে গেলে তাঁকে (সাংসদ) দেখে মানুষ ক্ষোভ প্রকাশ করে টেকসই বেড়িবাঁধের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন। পরে ওই এলাকায় নেমে সাধারণ মানুষের সঙ্গে বাঁধের কাজ করা হয়েছে।